মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন অংশে তৃণমূল নেতানেত্রীর এই কর্মসূচিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখোমুখি হতে শুরু করেছেন। শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের হাতে পেয়ে তাদের সামনে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তৃণমূলের এই দলীয় কর্মসূচি ও নেতানেত্রীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি
দিলীপ ঘোষ (
Dilip Ghosh)। শনিবার ইকোপার্কে (Eco Park) প্রাতঃভ্রমণ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করতে শোনা যায় দিলীপকে। তিনি বলেন, ‘যারা টিভির পর্দায় ডায়লগ মারত, তাঁরা যে কত বড় চোর সেটা পাবলিক এখন বুঝিয়ে দিচ্ছে। আমরা পাবলিককে বলছি, আপনার জলের টাকা, ঘরের টাকা, শৌচালয়ের টাকা লুট হয়ে গিয়েছে। যাঁরা টাকা নিয়েছে তারাই আপনার বাড়ির সামনে আসছে। মানুষ আগে থেকেই সব জানত ভয়ে বলত না। আমরা আওয়াজ তুলেছি। মানুষ সাহস পেয়েছে। এবং বলতে শুরু করেছে। হিসেব চাইছে। জঙ্গলমহল ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছে, যে তারা কিছু পায়নি। সর্বস্তরে এই আওয়াজ এবার উঠবে।’
Didir Suraksha Kavach : মন্ত্রীর সামনেই গ্রামবাসীকে ‘দিদির দূত’-এর থাপ্পড়! দত্তপুকুরে ‘সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে উত্তেজনাসম্প্রতি মিড ডে মিলে পড়য়াদের মাংস, ফল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। সেই অনুযায়ী মোট ৩৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। বিজেপির তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এই ঘোষণা। এর মধ্যে মিড ডে মিল নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। মিড-ডে মিলে নিয়ে পর্যালোচনা ও তথ্য অনুসন্ধানের জন্য রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল। সেই প্রসঙ্গে
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কেন্দ্র সরকার যে যে প্রকল্পে যত টাকা দিয়েছে, প্রতিটি প্রকল্পের হিসেব নেওয়া উচিৎ। তদন্ত হওয়া উচিত। নেতাদের বড় বড় বাড়ি, গাড়ি, গয়না, সমস্ত কেন্দ্রের টাকা। গরীব মানুষের জন্য পাঠান টাকা। এরা লুঠ করেছে। তাই পাই পয়সার হিসেব নেওয়া উচিত। এদের জেলে ঢোকানো উচিত।’
Gangasarga Mela 2023 : পুণ্যস্নানের আগে বিপাকে গঙ্গাসাগরমুখী পুণ্যার্থীরা, বাস-ভেসেল পরিষেবা বন্ধে চরম হয়রানি
কলকাতা হাইকোর্টে এজলাসে অরাজকতা ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বাড়ির বাইরে তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার কাণ্ডে এখনও অধরা অভিযুক্তরা। সেই প্রসঙ্গেও রাজ্য সরকারকেও তীব্র কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, ‘খুব লজ্জার এবং দুর্ভাগ্যের। হাইকোর্টর একটা ঐতিহ্য রয়েছে। যেমন এলাহাবাদ হাইকোর্ট অনেক ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে, তেমনই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিরাও কারুর কাছে মাথা নত না করে একের পর এক বিচার দিয়েছেন… যারা খুন করছে, আজকে তারাই বিচার করছে। দোষীকে যারা ধরবে, তারাই এই দোষের পিছনে আছে। কী করে আশা করেন, এরা ধরা পড়বে? বামাল শুদ্ধ গোটা সরকার ও পুলিশ-প্রশাসন এই কাজে লিপ্ত।’