এই সময়: স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির (গ্রুপ-ডি) কর্মী নিয়োগে ঠিক কতটা দুর্নীতি হয়েছে, তা জানতে চারটি প্রশ্নের জবাব চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) । শুক্রবার তিনি নির্দেশ দেন, নিয়োগের দায়িত্বে থাকা স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে দশ দিনের মধ্যে ওই চারটি প্রশ্নের জবাব দিতে হবে আদালতে। চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগে সুপারিশের ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রেই কারচুপি হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, এই নিয়োগ সংক্রান্ত আরও ১২৭টি ব্ল্যাঙ্ক ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে। এমন ফাঁকা ওএমআর শিটের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ২২৭। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইয়ের দাবি করা ওই ১২৭ জনের ওএমআর শিট প্রকাশ করতে এসএসসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। পাশাপাশি এই মামলায় ইডিকেও যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
SSC Scam : কোর্টের কোপে ১২ জন শিক্ষক
গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগে সুপারিশের সংখ্যা এবং ফাঁকা ওএমআর শিটের যে তথ্য সামনে এসেছে, তাতে অবশ্য ভিন্নতাও রয়েছে। এসএসসির তরফে জানানো হয়েছে, ১৯১১ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ১৬৯০ জনের নাম প্যানেলে ছিল। ১২৫ জনের ওএমআর শিট ফাঁকা। অন্য দিকে সিবিআইয়ের দাবি, ৪৪৮৭ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ২৮২৩ জনের সুপারিশে কারচুপি হয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের।
SSC Scam Case : অযোগ্যদের পরিবর্তে যোগ্য প্রার্থী নিয়োগেও বিতর্ক
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, কমিশনকে হলফনামা দিয়ে আগামী সপ্তাহে জানাতে হবে–মোট শূন্যপদ কত ছিল? কত জনকে সুপারিশ করা হয়েছিল? কতগুলি ওএমআর শিটে গরমিল? কত জন চাকরি পেয়েছেন? হাইকোর্ট এই মামলায় ইডিকেও যুক্ত করে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘নিয়োগ-দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেন কী ভাবে হয়েছে, সেটা দেখা দরকার।’ সেই সূত্রেই ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ।