রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘রাজ্যের বরাদ্দ আটকাতে কেন্দ্রের এটা রাজনৈতিক কৌশল। এর পিছনে স্থানীয় বিজেপির মদত রয়েছে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভেবেছিল ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮ জন উপভোক্তার তালিকা রাজ্য অল্প সময়ের মধ্যে করে উঠতে পারবে না। সেজন্য ৩১ ডিসেম্বর সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বলা হয়েছিল, করতে না পারলে কোটা অন্য রাজ্যে চলে যাবে। রাজ্য অল্প সময়ের মধ্যে স্বচ্ছতার সঙ্গে তা করতে সক্ষম হয়েছে। এজন্য বহু নাম বাদ পড়েছে। এখন তাই রাজ্যের নায্য পাওনা আটকাতে নানা কৌশলে হয়রানি করার প্রক্রিয়া নিয়েছে। এসব না করে আগে রাজ্যের বরাদ্দ টাকা দিক। তারপর কথা।’ এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘কেন্দ্রীয় আবাস যোজনা নিয়ে আজকে নতুন অভিযোগ হচ্ছে না। দু’বছর ধরে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা রাজ্যের উন্নয়নের জন্য পাঠাচ্ছে, সেটা যদি লুট হয়ে যায়, তা হলে কেন্দ্র বাংলায় টিম তো পাঠাবেই। কেন্দ্রের টাকায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার চলছে। তারপর বড় বড় কথা।’
নবান্নর কর্তাদের কথায়, পূর্ব মেদিনীপুরে গত সপ্তাহে তিন সদস্যের অফিসার পর্যায়ের কেন্দ্রীয় দল এসে সরেজমিনে খেজুরি, নন্দকুমার, তমলুক, ভগবানগোলা ঘুরে দেখেছেন। আর একটি দল মালদার ইংলিশবাজার, কালিয়াচক ২ ও ৩ নম্বর ব্লকে গিয়েছিলেন। এই দুই দল তালিকা নিয়ে এসেছিলেন। তা যাচাই করে তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসনের কাছে। এরপরেও এনএলএমএর দুটি সংস্থা, উত্তরপ্রদেশের বাবুরাম গ্রামোত্থান সংস্থান এবং দিল্লির অপারেশন রিসার্চ গ্রুপ প্রাইভেট লিমিটেড মালদা ও পূর্ব মেদিনীপুর যাচ্ছে। কেন নিজেদের অফিসারদের ওপর গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক আস্থা রাখতে পারছে না?
কেন্দ্রীয় সরকার যে পাঁচটি এনএলএমের নাম পাঠিয়েছে তার মধ্যে দুটি দিল্লির সংস্থা। বাকি তিনটি উত্তরপ্রদেশের। এই সংস্থাগুলি হল, লখনউয়ের আওয়াধ রিসার্চ ফাউন্ডেশন, হরদোই বাবুরাম গ্রামোত্থান সংস্থান, এলাহাবাদের জে বি পন্থ সোশ্যাল সায়েন্স ইন্সটিটিউট, দিল্লির সেন্টার ফর লজিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভালপমেন্ট স্টাডিজ ও অপারেশন রিসার্চ গ্রুপ প্রাইভেট লিমিটেড।