Pradhan Mantri Awas Yojana : আবাসে বেনিয়ম খুঁজতে বাংলায় আবার এজেন্সি! – pradhan mantri awas yojana central agency again coming to west bengal


এই সময়: টাকার দেখা নেই। তবে বঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সি বার বার। অফিসার পর্যায়ের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল নয়, রাজ্য বিজেপির মুখ রাখতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় উপভোক্তাদের তালিকা যাচাই করতে ন্যাশনাল লেভেল মনিটর্স টিমকে (NLM) হাতিয়ার করছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। চলতি বছরে প্রথম সপ্তাহে রাজ্যে তিন সদস্যের দুটি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসেছিল। পূর্ব মেদিনীপুর (East Medinipur) ও মালদা (Malda) যাওয়ার আগে তাঁরা অভিযোগের নির্দিষ্ট তালিকাও সঙ্গে এনেছিলেন। তবে সেগুলি যাচাই করে কোনও অসঙ্গতি না-পেলেও রাজ্য বিজেপি (BJP) আবাস যোজনায় (PM Awas Yojana) উপভোক্তা তালিকা নিয়ে ফের অভিযোগ তুলেছে। তাই এবার আর দুটি জেলায় নয়, দশ জেলায় এই অসঙ্গতি রয়েছে কি না, তা যাচাই করে নিতে চাইছে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের তালিকাভুক্ত পাঁচ এজেন্সি। এরা প্রত্যেকেই গ্রামীণ উন্নয়ন ও বিপণন সংক্রান্ত গবেষণার কাজে যুক্ত। নবান্নর কর্তাদের বক্তব্য, এনএলএম তো কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল বা কিছু অফিসার নয়। এরা সরকারি নথিভুক্ত এজেন্সি, যারা মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে সোশ্যাল অডিট করে। প্রকল্পের রূপায়ণ ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, তা দেখতে এদের পাঠানোই হয়। রাজ্যকে দিয়েও সোশ্যাল অডিটের কথা বলা রয়েছে প্রকল্পের নির্দেশিকায়। বহু কেন্দ্রীয় প্রকল্পে এই এনএলএম সরেজমিন দেখে ভুলত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করে দেয়। নবান্নের (Nabanna) অভিযোগ, এটা তালিকাভুক্ত উপভোক্তাদের আবাস যোজনার টাকা দেওয়ার সময়। কেন্দ্র সেটা না-করে ফের উপভোক্তা তালিকা যাচাই করতে এজেন্সি পাঠাচ্ছে। অথচ পোর্টালে উপভোক্তাদের আধার কার্ড, জব কার্ড সব দেওয়া রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে তা যাচাই করা খুবই সহজ।

PM Awas Yojana : রাজ্য তো প্রস্তুত, দিল্লির বরাদ্দ কই ?
রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘রাজ্যের বরাদ্দ আটকাতে কেন্দ্রের এটা রাজনৈতিক কৌশল। এর পিছনে স্থানীয় বিজেপির মদত রয়েছে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভেবেছিল ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮ জন উপভোক্তার তালিকা রাজ্য অল্প সময়ের মধ্যে করে উঠতে পারবে না। সেজন্য ৩১ ডিসেম্বর সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বলা হয়েছিল, করতে না পারলে কোটা অন্য রাজ্যে চলে যাবে। রাজ্য অল্প সময়ের মধ্যে স্বচ্ছতার সঙ্গে তা করতে সক্ষম হয়েছে। এজন্য বহু নাম বাদ পড়েছে। এখন তাই রাজ্যের নায্য পাওনা আটকাতে নানা কৌশলে হয়রানি করার প্রক্রিয়া নিয়েছে। এসব না করে আগে রাজ্যের বরাদ্দ টাকা দিক। তারপর কথা।’ এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘কেন্দ্রীয় আবাস যোজনা নিয়ে আজকে নতুন অভিযোগ হচ্ছে না। দু’বছর ধরে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা রাজ্যের উন্নয়নের জন্য পাঠাচ্ছে, সেটা যদি লুট হয়ে যায়, তা হলে কেন্দ্র বাংলায় টিম তো পাঠাবেই। কেন্দ্রের টাকায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার চলছে। তারপর বড় বড় কথা।’

PM Awas Yojana : ‘রিপোর্ট দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’, মালদায় আবাস যোজনা নিয়ে হুঁশিয়ারি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
নবান্নর কর্তাদের কথায়, পূর্ব মেদিনীপুরে গত সপ্তাহে তিন সদস্যের অফিসার পর্যায়ের কেন্দ্রীয় দল এসে সরেজমিনে খেজুরি, নন্দকুমার, তমলুক, ভগবানগোলা ঘুরে দেখেছেন। আর একটি দল মালদার ইংলিশবাজার, কালিয়াচক ২ ও ৩ নম্বর ব্লকে গিয়েছিলেন। এই দুই দল তালিকা নিয়ে এসেছিলেন। তা যাচাই করে তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসনের কাছে। এরপরেও এনএলএমএর দুটি সংস্থা, উত্তরপ্রদেশের বাবুরাম গ্রামোত্থান সংস্থান এবং দিল্লির অপারেশন রিসার্চ গ্রুপ প্রাইভেট লিমিটেড মালদা ও পূর্ব মেদিনীপুর যাচ্ছে। কেন নিজেদের অফিসারদের ওপর গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক আস্থা রাখতে পারছে না?

Pradhan Mantri Awas Yojana : নিয়ম মতে, সময় মেনে কাজে দেওয়া হবে ইনাম
কেন্দ্রীয় সরকার যে পাঁচটি এনএলএমের নাম পাঠিয়েছে তার মধ্যে দুটি দিল্লির সংস্থা। বাকি তিনটি উত্তরপ্রদেশের। এই সংস্থাগুলি হল, লখনউয়ের আওয়াধ রিসার্চ ফাউন্ডেশন, হরদোই বাবুরাম গ্রামোত্থান সংস্থান, এলাহাবাদের জে বি পন্থ সোশ্যাল সায়েন্স ইন্সটিটিউট, দিল্লির সেন্টার ফর লজিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভালপমেন্ট স্টাডিজ ও অপারেশন রিসার্চ গ্রুপ প্রাইভেট লিমিটেড।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *