পর্যদ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার এক আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে করুণাময়ীর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসে আসে প্রীতম নামে ওই যুবক। তাঁর আত্মীয় বেলঘরিয়ার বাসিন্দা বলে দাবি করেছিল ওই যুবক। মেসোকে নিয়ে সে এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে আসে। গ্রেফতারি পর জানা যায় যুবকের পাড়াতুতো কাকাও এই ভুয়ো অ্যাডমিট করানোর পিছনে মূল মাথা। পঞ্চার হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি তাঁকে ভুয়ো অ্যাডমিট কার্ড বানিয়ে দিয়েছিল ওই ব্যক্তি। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ওই ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিনদনকে বিধাননগর পূর্ব থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই ধৃত পরীক্ষার্থী ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় বসলেও অনুত্তীর্ণ হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের কর্মী সৌরভ ঘোষ বলেন, ‘সাড়ে ১০টা নাগাদ একটা ছেলে এখানে ইন্টারভিউয়ের জন্য এখানে আসে। তাঁর কল লেটার দেখে আমার সন্দেহ হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেখাতে তিনি বলেন কল লেটারটি ভুয়ো। প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদ আধিকারিক এসে তাঁকে আটক করে। কোনও একটি সংস্থার মাধ্যমে এই প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছিল। আরও কয়েকজন ভুয়ো কল লেটার নিয়ে এখানে এসেছিলেন। কিন্তু, তাদেরকে ধরা সম্ভব হয়নি। আরও একজনকে পড়ে ধরা হয়। তাঁর থেকে অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।’
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মেনে গেটেই ওই ভুয়ো চাকরিপ্রার্থী ধরা পড়েছে। আমাদের ডাটাবেসেও ওই ছেলেটির কোনও তথ্য ছিল না। এতে আমাদের সন্দহ হয়। রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে সার্চ করতে অন্য আরেকজনের তথ্য বের হয়। তখনই আমরা গোটা বিষয়টি বুঝতে পারি। সব প্রার্থীদের আগে নথি যাচাই হচ্ছে, তারপর ইন্টারভিউ হচ্ছে। গোটা ঘটনার কথা আমরা পুলিশকে জানাই, পুলিশ গ্রেফতার করেছে।