এলাকার উত্তেজনা সামলাতে পুলিশবাহিনীর পাশাপাশি নামানো হয়েছে র্যাফও (RAF)। এক প্রত্যক্ষদর্শী এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে বলেন, “আমাদের চোখের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে গেল, কিছুই করতে পারলাম না। বলতে গেলে লরিটি একটুও সময় দেয়নি। বেপরোয়া ভাবে রাস্তা দিয়ে চালাচ্ছিল চালক। ছেলেটি স্কুলে ঢোকার মুখেই সাইকেলে থাকা অবস্থায় লরিটি ছেলেটিকে পিষে দিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই ছেলেটি মারা যায়”। ওই প্রত্যক্ষদর্শী আরও জানান, “এই রাস্তাটি বরাবরই বিপজ্জনক। লরি, বাস, চার চাকা গাড়ি সবাই খুব বেপরোয়া গতিতে যাতায়াত করে। পথচারীদের খুব সাবধানে চলাচল করতে হয় এই রাস্তায়। পুলিশ প্রশাসনকে অনেকবার জানানো হয়েছে এখানে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রনের ব্যাপারে। কিন্তু সেরকম কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি”। যার ফলে আজকের এই দুর্ঘটনা বলে মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য, রাজ্যজুড়ে ব্যাপক হারে বেড়েছে পথদুর্ঘটনা। রোজকার পথদুর্ঘটনা রোধ করতে সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের তরফে নেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ পদক্ষেপ ও কর্মসূচি। সরকারের তরফে নেওয়া হয়েছে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর (Safe Drive Save Life) মতন কর্মসূচি। গড়ে তোলা হচ্ছে সচেতনতা। কিন্তু একশ্রেণীর মানুষ বা চালকদের যে কোনও কিছুতেই সচেতনতা আসছে না, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে রোজকার পথদুর্ঘটনা। আর এর ফলে রাজ্যের কোথাও না কোথাও প্রত্যেকদিন অকালে ঝরে যাচ্ছে কোনও না কোনও প্রাণ।