West Bengal Latest News: হ্যাঁচকা টানে অণ্ডকোষ ছিন্নভিন্ন! পৌরুষে ঘা খেয়েও ছেলের মুখ চেয়ে বউমাকে ক্ষমা প্রৌঢ়ের – biswajit hait starts a new journey with wife who attacked her father in law


ঝগড়ার মধ্যে শ্বশুরের অণ্ডকোষ ছিঁড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বউমার বিরুদ্ধে। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নারকেলদাহা গ্রামের ঘটনা রীতিমতো চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছিল। শিখা হাইতের আচরণে স্বামী বিশ্বজিৎ হাইত পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন কার্যত শয্যাশায়ী ছিলেন বিশ্বজিৎ হাইতের বাবা। কিন্তু, নতুন বছরে নতুন সূচনা। বিশ্বজিৎ জানান, তিনি নিজেই স্ত্রীর জামিন করিয়েছেন। তিনি ফেরত এসেছেন শ্বশুরবাড়িতেও। সন্তানদের মুখ চেয়েই স্ত্রীকে আরও একটি সুযোগ দিতে চান বলে জানিয়েছেন বিশ্বজিৎ।

ঠিক কী বলেছেন বিশ্বজিৎ?

তিনি সম্প্রতি বলেন, “আমার স্ত্রী ভুল করেছিল। দীর্ঘদিন ভুগতে হয়েছে আমার বাবাকে। গোটা পরিবার আতঙ্কে ছিল। কিন্তু, আমাদের সন্তান রয়েছে। ওদের মুখ চেয়েই আমি সব ভুলে যেতে রাজি হয়েছি। আমার পরিবারের সদস্যরাও তা মেনে নিয়েছে। স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। এরপর আমিই ওর জামিনের ব্যবস্থা করি। আপাতত একমাস হল ও আমার সঙ্গে রয়েছে।”

Trending News : ‘ছাল ছাড়িয়ে নিয়েছিল, বাবার অণ্ডকোষ অক্ষত!’ হিংস্র আক্রমণ নিয়ে মুখ খুললেন অভিযুক্ত বধূর স্বামী
উল্লেখ্য, বিশ্বজিৎ হাইতের অভিযোগ ছিল, স্ত্রী শিখা শর্মা বাপের বাড়ি যাওয়ার জেদ ধরেছিলেন। বাপের বাড়িতে মাংস রান্না হওয়ার জন্যও এই বায়না করেছিলেন তিনি। কিন্তু, বিশ্বজিৎ জানিয়েছিলেন বাড়িতেই স্ত্রীর জন্য মাংস এনে দেবেন তিনি। এতেই কার্যত জ্বলে উঠেছিলেন শিখা। প্রথমে ঝগড়া, তারপর শ্বশুড়ের অণ্ডকোষ ধরে হ্যাঁচকা টান দিয়েছিলেন তিনি। এরপরেই মাটিতে গড়াগড়ি খেতে থাকেন ওই প্রবীণ। ঘটনায় থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ হাইত। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই শিখাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।

West Bengal Trending News : মাংস খেতে বাপের বাড়ি যেতে না দেওয়ায় গোঁসা, হ্যাঁচকা টানে শ্বশুরের অণ্ডকোষ ছিঁড়লেন বাংলার বধূ
অন্যদিকে, বিশ্বজিতের দাবি উড়িয়ে দিয়েছিলেন শিখার ভাই। তাঁর দাবি ছিল একাধিকবার স্ত্রীর উপর শারীরিক অত্যাচার চালিয়েছে বিশ্বজিৎ। বিষয়টি নিয়ে আগেও গ্রামে বৈঠক হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। যদিও এই অতীতের তিক্ততা ভুলে বিশ্বজিৎ-শিখা নতুন করে সংসার যাত্রা শুরু করেছেন। বিশ্বজিৎ জানান, তাঁর বাবা আপাতত ভালো রয়েছেন। অণ্ডকোষ শেষ পর্যন্ত বাদ দিতে হয়নি। চিকিৎসা চালানো হচ্ছে। পরিবারের সকলেই খোলা মনে শিখাকে মেনে নিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। বিশ্বজিৎ আরও জানান, তাঁদের দুই সন্তান। দু’জনেই বড় হচ্ছেন। মায়ের ভালোবাসা তাঁরা পাক, এমনটাই চাইছিলেন তিনি। তাই শিখার সঙ্গে নতুন করে পথ চলা শুরু করেন তিনি। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত শিখার পরিবারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব হয়নি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *