রবিবার অর্থাৎ এদিন ছিল ওই সমবায়ের নির্বাচন। ৪৯ আসনের এই সমবায়ে নির্বাচনে সবকটি আসনে শুধু প্রার্থী ছিল সিপিআইএমের। বিরোধীরা প্রায় প্রার্থী দিতে না পারায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন সিপিআইএম প্রার্থীরা। এদিনই সমস্ত প্রার্থীদের জয়ী ঘোষণা করে হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। পরম্পরা বজায় থাকায় উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন কর্মী সমর্থকেরা। পাশাপাশি বিকেল থেকেই শুরু হয়ে যায় বিজয় উৎসব। পঞ্চায়েতের আগে সমবায়ে বামেদের সামনে প্রার্থী দিতে না পারাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে, মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) মতো দাপুটে সাংসদের গড়ে তৃণমূল প্রার্থী দিতে না পারার কারণ অনুসন্ধানে নেমেছে শাসক শিবির। পঞ্চায়েতের আগে ভুল বার্তা যেন না যায় তার জন্য সচেষ্ট শাসক শিবির। পঞ্চায়েতে ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে শুদ্ধিকরণের পথে হাঁটছে শাসকদল। প্রধান উপপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেই সঙ্গে সঙ্গে বরখাস্ত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
অন্যদিকে, একের পর এক নির্বাচনে জয়ের পর রাজ্যে নাকি ধীরে ধীরে পায়ের তলার মাটি ফিরে পাচ্ছে বামফ্রন্ট (Left Front), এমনই দাবি করছেন বামনেতারা। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের (Bhagawanpur) কলাবেড়িয়া সমবায় সমিতির নির্বাচনে বামেদের নিরঙ্কুশ জয়ের পর নদিয়া তেহট্টর জয়েও উচ্ছ্বসিত বাম কর্মী সমর্থকেরা। ভগবানপুর কলাবেড়িয়া সমবায় সমিতিতে মোট আসন ছিল নয়টি। মোট ১৯ প্রার্থীর মধ্যে নয়টি আসনের নয়টিতেই জয়ী হয় বামেরা।