স্থানীয় সূত্রে খবর, সিঙ্গুরের জামিনবেড়িয়া পেট্রোল পাম্প থেকে আথালিয়া, আনন্দনগর, রাজারবাথান হয়ে নোয়াপাড়া অবধি প্রায় ১৬ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। দীর্ঘদিন রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ার কারণে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা হাজার হাজার মানুষকে নিত্যদিন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সিঙ্গুর উত্তর লোকাল কমিটির DYFI সম্পাদক সুকাজল দাস বলেন, “দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে দিদির দূতেরা পাড়ায় পাড়ায় ঘুরছে তাঁরা দেখতে পাচ্ছে না রাস্তার কী অবস্থা? তাঁদেরকে প্রশ্ন করা হলে তাঁরা এড়িয়ে গিয়েছে। তাঁরা শুধু আশ্বাস দিচ্ছে রাস্তা হবে, কিন্তু কবে হবে। আনন্দনগর এলাকায় তাঁরা গিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আশ্বাস দিলেও রাস্তার বিষয়ে কোনও আশ্বাস দিতে পারেনি।”
বামেদের দাবি, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে এই রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল। ছয় মাস পর থেকেই রাস্তা ভাঙতে শুরু করে। রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে বড় বড় পাথর। ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা অনেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে জানিও কোন ফল হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই রাস্তা অবরোধে নেমেছি।
এবিষয়ে সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না (Becharam Manna) বলেন, “সিপিএম ৩৪ বছরে এই রাস্তা করতে পারে নি। ২০১১ সালে এই রাস্তা তৃণমূল করেছিল। এই সিপিএম নেতারা বিভিন্ন রকম ব্যবসা করে ভারী যানবাহন ঢুকিয়ে নষ্ট করেছে। এখন আর কাজ নেই তাই মিছিল করছে।” তিনি জানান, কৃষিজ বিপণন দফতর থেকে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য টেন্ডার হয়ে ওয়ার্ক অর্ডার বেরিয়ে গিয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু হবে।