মদন মিত্রের বক্তব্য
অশোকনগরে সবলা মেলা তথা অশোকনগর উৎসবে এসে চড়কাণ্ড নিয়ে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, ”এই মুহূর্তে তৃণমূলের সমর্থক কম করে হলেও ৮ কোটি, তৃণমূল পার্টি করে কমপক্ষে ৫ কোটি, ভলেন্টিয়ার নেমেছে সাড়ে তিন লাখে, তাই এই ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। খবর নিলে দেখা যাবে যে যাকে চড় মেরেছে, তদের হয়তো জামাইবাবু ও শালার সম্পর্ক।দুজনের মধ্যে ব্যক্তিগত কোন কারণ থাকতে পারে, এটা দিয়ে তৃণমূলকে বিচার করা যাবে না।”
এখানেই শেষ নয়, চড়কাণ্ড নিয়ে কামারহাটির বিধায়ক আরও বলেন, ”তৃণমূলকে বিচার করতে হবে G-20 দিয়ে, গঙ্গাসাগর মেলা দিয়ে,বাংলার সুরক্ষা কবচ দিয়ে। দিদির সুরক্ষা কবচ হল, বিখ্যাত হিন্দি ছবি শোলের কয়েনের মত, দু’দিকেই হেড ছিল। এর আগে স্লোগান দেওয়া হত, গদ্দার সরকার আর নেই দরকার, সিপিএমের লুটেরার সরকার আর নেই দরকার, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, মা বোনেরা বলুক আপনাদের কি দরকার। সেই দাবি মেনেই এই তো দরজায় হাজির দুয়ারে সরকার। পরে আমরা ভাবলাম দুয়ারে সরকারেও মানুষকে বের হতে হবে, সেই কষ্ট কমাতেও আবার নয়া পদক্ষেপ দিদির। এবার আর বের হতে হবে না। ঘরে বসে শুধু APP টা খুলুন ,বিজেপির ভূত নয় দিদির দূত। তাহলেই মুশকিল আসান।” চড় কাণ্ডে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হলেও অশোকনগর উৎসবে (West Bengal Local News) এই ঘটনাকে ছোট ঘটনা বলেই বর্ণনা করলেন কামারহাটির বিধায়ক।
কী এই চড়কাণ্ড?
শনিবার দিদি সুরক্ষা কবচ ও দিদির দূত কর্মসূচির প্রচারে শনিবার ইছাপুরে নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। সেসময়ই অভাব অভিযোগ ও এলাকার খারাপ রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে যান বিজেপি মণ্ডল সভাপতি সাগর বিশ্বাস। বক্তব্য পেশের সময়ই মন্ত্রীর সামনে সাগরকে সপাটে চড় মারেন ওই তৃণমূলকর্মী শিবম দাস। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা শিবম।