নেপালের বিমান দুর্ঘটনা
প্রসঙ্গত, রবিবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু (Kathmandu) থেকে ৬৮ জন যাত্রী নিয়ে ইয়েতি এয়ারলাইন্স (Yeti Airlines)-এর 9N ANC ATR72 বিমান পোখরা যাচ্ছিল। পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (Pokhara International Airport) নামার আগেই মাঝ আকাশে বিমানে আগুন ধরে যায়। এরপরই জ্বলন্ত বিমানটি রানওয়েতে ভেঙে পড়ে। যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন পাঁচজন ভারতীয়ও। এদের মধ্যে ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছে নেপাল প্রশাসন। তবে নিহতদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটির কারোওই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।
পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Pokhara International Airport) এখনও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে নেপালের সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কাঠমান্ডু (Kathmandu) সরকার। কী কারণে দুর্ঘটনা? কী ভাবে মাঝ আকাশেই বিমানে ধরে গেল আগুন? তা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে এই কমিটি। চলছে বিমানের ব্ল্যাক বক্সের (Black Box) খোঁজও। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পাওয়া গেলে অনেক রহস্যেরই সমাধান করা যাবে। জানা যাবে শেষ মুহূর্তে কী করতে চেয়েছিলেন পাইলট। কেন ATC-কে কোনও খবর দেওয়া হয়নি। দুর্ঘটনার নেপথ্যে কোনও অন্তর্ঘাত রয়েছে কিনা, তাও স্পষ্টভাবে খতিয়ে দেখা হবে। দুর্ঘটনার পরই এই নিয়ে বিবৃতি দেয় Yeti Airlines। উড়ান সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিমানে মোট ৫৩ জন নেপালি যাত্রী ছিলেন। অন্যান্যদের মধ্যে পাঁচ ভারতীয়, চার রুশ, একজন আইরিশ, দু’জন কোরিয়ান এবং একজন করে আর্জেন্তিনিয় এবং ফরাসি নাগরিক ছিলেন। দুর্ঘটনায় ৫ ভারতীয় যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কায় ছড়িয়েছে উদ্বেগ। তাঁদের পরিজনদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে নেপালের ভারতীয় দূতাবাস (Indian Embassy of Nepal)।