গৃহ শিক্ষকের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কোতুলপুর থানার পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসাপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের প্রাথমিক অনুমান ওই গৃহশিক্ষককে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা অবধি খুনের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। কোতুলপুর থানার পুলিশ এই রহস্যমৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অঞ্জন কোনও ঝামেলা অশান্তির মধ্যে থাকতে না। কীভাব এই ঘটনা ঘটল তা বুঝে উঠতে পারছেন না তারা।
মৃতে আত্মীয় কৌশিক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘গিয়ে দেখলাম রাস্তার ধারে মৃতদেহটি পড়ে রয়েছে। মাফলার দিয়ে মুখ বাধা অবস্থা দেহ পড়েছিল। মাথায় রক্ত দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল, কিন্তু আমরা দেহতে হাত দিতে পারিনি। এটা কোনও ভাবেই দুর্ঘটনা বলে মনে হচ্ছে না। নিশ্চয়ই কোনও কারণে ওনাকে খুন করা হয়েছে।’ মৃতের আরেক আত্মীয় বলেন, ‘টিউশনি পড়িয়ে এসে রোজকার মতো বাইরে হাঁটতে বেরিয়েছিল। তারপরই আর বাড়ি ফিরে আসেনি। সারারাত ধরে খোঁজার পরও সন্ধান মেলেনি। পরের দিন সকালে যখন আমরা প্রথম দেহ দেখতে পাই, তখন মুখে মাফলার বাঁধা ছিল। সেটা দেখেই আমাদের সন্দেহ হয় যে এটা দুর্ঘটনার কোনও ঘটনা নয়। এটা যদি খুন হয়ে থাকে, তবে আমরা চাই দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হোক। ‘