Bankura News: মুখে মাফলার বাঁধা অবস্থায় রাস্তায় গৃহশিক্ষকের দেহ উদ্ধার, কোতলপুরে রহস্য – bankura private tutor body found from roadside petrol pump police started probe


West Bengal News: এক গৃহশিক্ষকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো বাঁকুড়ার কোতুলপুরে। মৃতের নাম অঞ্জন রায় ওরফে দীপ। এলাকায় ‘ভালো ছেলে’ হিসেবে পরিচিত দীপের এই রহস্যমৃত্যুতে রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছেন এলাকাবাসীরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, তালডাংরার বাসিন্দা অঞ্জন রায়ের কোতুলপুরের (Kotalpur Police Station Area) কোয়ালপাড়ায় দিদির বাড়ি রয়েছে। সেই সূত্রেই তিনি কোতুলপুরে এসেছিলেন। মৃত গোরু হাটতলায় মাকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকার পাশাপাশি গৃহশিক্ষকতা করতেন। অন্যান্য দিনের মতো রবিবার সন্ধ্যাতেও পড়ানোর জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। তাঁর জামাইবাবু সহ পাড়া প্রতিবেশীরা বিভিন্ন দিকে খোঁজাখুঁজি করে তাঁর সন্ধান পাননি। অবশেষে সোমবার কোতুরপুরের খুনডাঙ্গার পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকার রাস্তার পাশে মাফলার দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

Purba Medinipur : এগরায় ধানক্ষেত থেকে যুবকের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
গৃহ শিক্ষকের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কোতুলপুর থানার পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসাপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের প্রাথমিক অনুমান ওই গৃহশিক্ষককে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা অবধি খুনের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। কোতুলপুর থানার পুলিশ এই রহস্যমৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অঞ্জন কোনও ঝামেলা অশান্তির মধ্যে থাকতে না। কীভাব এই ঘটনা ঘটল তা বুঝে উঠতে পারছেন না তারা।

Uttar 24 Pargana : নিজের স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে, মানতে রাজি নয় মেয়ে! রহস্য
মৃতে আত্মীয় কৌশিক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘গিয়ে দেখলাম রাস্তার ধারে মৃতদেহটি পড়ে রয়েছে। মাফলার দিয়ে মুখ বাধা অবস্থা দেহ পড়েছিল। মাথায় রক্ত দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল, কিন্তু আমরা দেহতে হাত দিতে পারিনি। এটা কোনও ভাবেই দুর্ঘটনা বলে মনে হচ্ছে না। নিশ্চয়ই কোনও কারণে ওনাকে খুন করা হয়েছে।’ মৃতের আরেক আত্মীয় বলেন, ‘টিউশনি পড়িয়ে এসে রোজকার মতো বাইরে হাঁটতে বেরিয়েছিল। তারপরই আর বাড়ি ফিরে আসেনি। সারারাত ধরে খোঁজার পরও সন্ধান মেলেনি। পরের দিন সকালে যখন আমরা প্রথম দেহ দেখতে পাই, তখন মুখে মাফলার বাঁধা ছিল। সেটা দেখেই আমাদের সন্দেহ হয় যে এটা দুর্ঘটনার কোনও ঘটনা নয়। এটা যদি খুন হয়ে থাকে, তবে আমরা চাই দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হোক। ‘



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *