Bulbul Bird Fight: ৪০০ বছরের ঐতিহ্য বহাল, আজও ঝাড়গ্রামে চলে বুলবুলি পাখির লড়াই – bulbul bird fight tradition continue on makar sankranti at gopiballavpur


Jhargram : প্রায় চারশো বছরের প্রাচীন ঐতিহ্য রক্ষা করে মকর সংক্রান্তির দিন গোপীবল্লভপুরের রাধাগোবিন্দ জিউ মন্দিরে (Radha Govinda Jiu Mandir) হল বুলবুলি পাখির লড়াই। প্রশিক্ষিত পাখি নিয়ে লড়াইতে মাতলেন গোপীবল্লভপুরের (Gopiballavpur) উত্তর পাড়া ও দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দারা। বুলবুলি পাখির লড়াই দেখতে ভিড় জমল উৎসুকদের। ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার গোপীবল্লভপুর মূলত বৈষ্ণব পিঠস্থান হিসাবে পরিচিত। তাই রক্তপাতহীন পাখির লড়াই করার জন্য রাধাগোবিন্দ জীউ মন্দিরে প্রায় চারশো বছর আগে শুরু হয়েছে বুলবুলি পাখির লড়াই। মকর সংক্রান্তির দিন হয় এই বুলবুলি লড়াই। প্রতি বছরই এই লড়াই দেখতে হাজির হন পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা। একটি খাট কিংবা টেবিলের উপর দুটি পাখিকে লড়াইতে নামানো হয়। এতে কোনও অস্ত্র থাকে না। তাই পরাজিত ও বিজিত পাখি দুটির রক্তপাতের কোন সম্ভাবনা থাকে না। সকাল থেকে পাখিগুলিকে অভুক্ত রাখা হয়। সেই অভুক্ত পাখিকে দুপুরে লড়াইতে নামালে সামনে খাবার দেওয়া হয়।

Makar Sankranti 2023: ‘মকরে পিঠে পুলি তো সবই হল, ও কই?’ কান্নায় ভেঙে পড়েন ছত্রধরের স্ত্রী
খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ি করার জন্য করে দুই পাখি লড়াই করে। লড়াই করতে করতে একটি বুলবুলি টেবিলের বাইরে বেরিয়ে গেলে ফের তাকে টেবিলের উপরে অন্য পাখিটির সামনে দেখানো হয়৷ সেই সময় যদি টেবিল থেকে বেরিয়ে যাওয়া পাখিটি মুখ ফিরিয়ে নেয়, সঙ্গে সঙ্গে তাকে পরাজিত বলে ঘোষণা করা হয়। পরাজিত বুলবুলি পাখিটির ঝুঁটি কাটা হয়। আর জয়ী পাখিটির কপালে জোটে ভালো আহার। বিজয়ী পাখির মালিকদের হাতে আগে সম্মান হিসেবে দুটি পান তুলে দিতেন গোপীবল্লভপুরের রাধাগোবিন্দ জিউ মন্দিরের মহারাজ কৃষ্ণকেশবানন্দ দেব গোস্বামী৷

West Bengal Weather Update : তাপমাত্রা কমলেও অধরা শীত, বঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস
বেশ কয়েক বছর আগে ‘বুলবুলি পাখি লড়াই কমিটির’ তৈরি হওয়ার পর এখন কমিটিই পুরস্কার দেয়৷ প্রতিবছর দূরদূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হন বুলবুলি পাখির লড়াই দেখতে। স্থানীয় এক এ বিষয়ে বলেন, “বহু প্রাচীন এই বুলবুলি পাখির লড়াই প্রতিযোগিতা। যে পাখির মালিক তাঁর পোষা বুলবুলিকে যত ভালো প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন, তাঁরাই প্রতিযোগিতার আসরে এগিয়ে থাকেন এবং জয়ী হন। জঙ্গলমহলের এই বুলবুলির লড়াই আজও ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।” তবে পাখির এই লড়াই নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বন্যপ্রাণী প্রেমী সংগঠন। তাঁদের কথায়, পাখির লড়াইয়ে কোনও পাখির মৃত্যু হয় না, রক্তপাত হয় না ঠিকই, কিন্তু পাখির তো আঘাত লাগে। এরকম বিষয়গুলি আগামী দিনে সরকারের দেখা উচিত ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *