খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ি করার জন্য করে দুই পাখি লড়াই করে। লড়াই করতে করতে একটি বুলবুলি টেবিলের বাইরে বেরিয়ে গেলে ফের তাকে টেবিলের উপরে অন্য পাখিটির সামনে দেখানো হয়৷ সেই সময় যদি টেবিল থেকে বেরিয়ে যাওয়া পাখিটি মুখ ফিরিয়ে নেয়, সঙ্গে সঙ্গে তাকে পরাজিত বলে ঘোষণা করা হয়। পরাজিত বুলবুলি পাখিটির ঝুঁটি কাটা হয়। আর জয়ী পাখিটির কপালে জোটে ভালো আহার। বিজয়ী পাখির মালিকদের হাতে আগে সম্মান হিসেবে দুটি পান তুলে দিতেন গোপীবল্লভপুরের রাধাগোবিন্দ জিউ মন্দিরের মহারাজ কৃষ্ণকেশবানন্দ দেব গোস্বামী৷
বেশ কয়েক বছর আগে ‘বুলবুলি পাখি লড়াই কমিটির’ তৈরি হওয়ার পর এখন কমিটিই পুরস্কার দেয়৷ প্রতিবছর দূরদূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হন বুলবুলি পাখির লড়াই দেখতে। স্থানীয় এক এ বিষয়ে বলেন, “বহু প্রাচীন এই বুলবুলি পাখির লড়াই প্রতিযোগিতা। যে পাখির মালিক তাঁর পোষা বুলবুলিকে যত ভালো প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন, তাঁরাই প্রতিযোগিতার আসরে এগিয়ে থাকেন এবং জয়ী হন। জঙ্গলমহলের এই বুলবুলির লড়াই আজও ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।” তবে পাখির এই লড়াই নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বন্যপ্রাণী প্রেমী সংগঠন। তাঁদের কথায়, পাখির লড়াইয়ে কোনও পাখির মৃত্যু হয় না, রক্তপাত হয় না ঠিকই, কিন্তু পাখির তো আঘাত লাগে। এরকম বিষয়গুলি আগামী দিনে সরকারের দেখা উচিত ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।