Justice Rajasekhar Mantha ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটের আগের রাতে কাকদ্বীপে সিপিএম সমর্থক (CPiM) দম্পতির অগ্নিদগ্ধ হয়ে রহস্য মৃত্যুতে এবার সিট গঠনের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। কলকাতা হাইকোর্টে এদিন শুনানিতে কাকদ্বীপে ওই জোড়া খুনের ঘটনায় তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে পার্কস্ট্রিট ধর্ষণ কাণ্ড (Park Street Sujet Case) খ্যাত দময়ন্তী সেনের (Damayanti Sen) হাতে। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের লক্ষ্যেই বর্ষীয়ান এই আইপিএস-এর উপর দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি মান্থা।
২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটের আগে স্থানীয় সিপিএম কর্মী দেবপ্রসাদ দাস এবং তাঁর স্ত্রী ঊষারানি দাসের আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়। তাদের মৃত্যুতে যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। ওই দম্পতির ছেলে পুলিশে অভিযোগ করেন যে তাঁর বাবা-মাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই খুন করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার পর এতবছর কেটে গেলেও আসল দোষীকে বা দোষীদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন দম্পতির সন্তান দীপঙ্কর দাস। Justice Rajasekhar Mantha: বিচারপতির বাড়ির সামনে আপত্তিকর পোস্টার, জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি হাইকোর্টের
জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন রাতে নিজের বাড়িতেই আগুনে পুড়ে যান ওই সিপিএম দম্পতি। কিন্তু কীভাবে লাগল আগুন সেই নিয়ে ধোঁয়াশা। প্রাথমিক তদন্তের পর এডিজি আইনশৃঙ্খলা অনুজ শর্মা জানিয়েছিলেন, এটা দুর্ঘটনা। শর্টসার্কিটের জেরে আগুন লেগে যায় ওই বাড়িতে। দীপঙ্করের দাবি, ঘটনার দিন ঝড়বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ ছিল না এলাকায়। এমন অবস্থায় কী করে শর্ট সার্কিট হবে। একইসঙ্গে দাবি, শর্ট সার্কিট হলে ঘরে সুইট বোর্ড বা তার যে অবস্থায় পাওয়া যায় এক্ষেত্রে তেমন ছিল না। ফলে একাধিক বিষয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
এদিন বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, এই তদন্তের যাবতীয় নথি দ্রুত আই পি এস দময়ন্তী সেনকে দিতে হবে। সেই সব নথি খতিয়ে দেখে তিনি সিট গঠন করবেন নিজেকে ওই দলের মাথায় রেখে। তিনি দক্ষ অফিসারদের বেছে নেবেন সিটের জন্য। নিজের পছন্দমতোই অফিসার নির্বাচন করবেন দময়ন্তী। ওই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই মামলার নিম্ন আদালতে ট্রায়াল স্থগিত থাকবে।