পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১২ জানুয়ারি প্রদীপ কুমার ওঝার আবাসনের বন্ধ ঘর থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। দার্জিলিংয়ের গুড্ডি রোডে কাছে তাঁর আবাসন। প্রদীপ কুমার ওঝার শহরের বাইরে থাকলেও এই ফ্ল্যাটে পুজো দেওয়ার কারণে সকালে আসেন। গত ১২ জানুয়ারি, তিনি প্রার্থনার কারণেই এই আবাসনে এসেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, সন্ধ্যার সময় প্রদীপ ওঝার মেয়ে আবাসনে এসে দেখেন ঘর বন্ধ। বহু ডাকাডাকি করেও তিনি সাড়া দেননি। এমনকি তাঁর মোবাইলে ফোন করা হলেও ফোন সুইচড অফ পাওয়া যায়। পরে ঘরে ঢুকে দেখা যায় প্রদীপ ওঝার নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। তারপর হাত, পা স্যালোটেপ দিয়ে বাঁধা রয়েছে। এরপরেই প্রদীপ ওঝার মেয়ে পুলিশকে খবর দেন। এরপর থেকেই ঘটনার তদন্তে নামেন পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, আবাসনের আশেপাশের বাসিন্দা, সিকিউরিটি গার্ডদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। রবিবার এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত নিতন কল এবং আশুতোষ ইকার দুজনেই সোনার কারবারের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এমনকি প্রদীপ কুমার ওঝার পরিচিত ছিল এই দুজনেই বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রদীপ ওঝার বাড়ি থেকে একটি সোনার আংটি সহ একাধিক জিনিস উধাও হয়েছিল। সেগুলির খোঁজেও তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
এমনকি এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে পাওয়ার জন্য তাঁদেরকে জেরা করে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দুই দুষ্কৃতী মূলত মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। এর মধ্যে একজন বেশ কিছু বছর ধরে দার্জিলিংয়ে রয়েছেন, এখন ছয় মাস আগে কর্মসূত্রে দার্জিলিংয়ে এসে রয়েছেন।