২০২২ সালে পুরসভা নির্বাচনের সময় থেকেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে ঝালদা পুরসভা। ভোটের ফল ত্রিশঙ্কু হওয়ার পরই কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুন হন। সেই সময় নির্দল কাউন্সিলর হিসেবে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনেই পুরপ্রধান হয়েছিলেন সুরেশ আগরওয়াল। পরবর্তী সময়ে নির্দল ও তৃণমূল কাউন্সিলররা সমর্থন তুলে নিলে তাঁকে পদ থেকে অপরাসিত হতে হয়। এদিন পুরসভা চত্বরে কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছিল।
ভোট কেনাবেচা হতে পারে আন্দাজ করে কংগ্রেস ও নির্দল কাউন্সিলরদের গোপন ডেরায় রাখারা ব্যবস্থা করেছিল জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। যদিও শাসকদলের তরফে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের যে নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থনে পুরসভা তৃণমূলের দখলে গিয়েছিল, সেই তিনি এদিন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন। কয়েকমাসের মধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও এই জেলা ভালো ফল করেনি তৃণমূল। পুরসভা হাতছাড়া হওয়ায় শাসকদলের অস্বস্তি বাড়ল।
জেলা কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তৃণমূল নেতত্ব ভোট পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এমনকী জেলাপ্রশাসনের বিরুদ্ধেও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ এনেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে শাসকদলের দাবি, তৃণমূল কাউন্সিলররা পুরসভাতে যাওয়ার আগেই ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে সূত্রের খবর, ঝালদা পুরসভা নিয়ে আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল। সেই কারণে পুরসভার ভাগ্য ঝুলে থাকতে পারে। এখন এই মামলার শুনানির পর ডিভিশন বেঞ্চ কী রায় দেয় সেটাই এখন দেখার।