এদিন পুরসভায় কংগ্রেসের এই জয়ের পর প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাতো। তিনি বলেন, ‘মহামান্য হাইকোর্টে নির্দেশে চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেখানে নির্দল শীলা চট্টোপাধ্যায় কংগ্রেসের সমর্থনে চেয়ারম্যান হয়েছে। আদালত জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন পরিচালন নির্দেশ দিয়েছিলেন। জেলাশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় SDO। নির্বাচন পরিচালনায় তিনি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছেন। আমরা আদলতকে জানাবো গোটা বিষয়টা। তাঁর উপস্থিতিতে কয়েকজন কাউন্সিলর ব্যালট পেপার নিয়ে বাইরে বেরিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। ঝালদা পুরসভায় বহু প্রতীক্ষিত জয় এসেছে। আগামিকাল আদালতে এই রিপোর্ট জেলাশাসক পেশ করবেন। ঝালদার মানুষকে অনেক ধন্যবাদ।’
অন্যদিকে ঝালদা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কাউন্সিলর সুরেশ আগরওয়াল বলেন, ‘ভোটদান প্রক্রিয়া অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু, ভোটদান প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বেআইনি। ভোটের সময় সবাইকে একসঙ্গে ব্যালট পেপার দেওয়ার নিয়ম নেই। আমি বাধা দিয়েছি। আমি আমরা সেই কারণে ভোট দিইনি। এবার ভোট আইনি না বেআইনি তা আদালত বিচার করব। আমরা তো আদালতের দ্বারস্থ হয়েই আছি। ১১টি ব্যালট ইস্যু হয়েছে। ৭টি জমা পড়েছে, ৪টি পড়েনি। তবে ভোট প্রক্রিয়া কীভাবে শেষ হল।’
উল্লেখ্য, মার্চ মাসের পুরসভা নির্বাচন হয়েছিল। ২ নম্বর ওয়ার্ডে ভাইপো তৃণমূলের দীপক কান্দুকে ১২৭ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন তপন। তারপরই ১৩ মার্চ তপনকে খুন করা হয়। তাঁর মৃ্ত্যুর তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের ওপর। ২ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে তপনের আরেক ভাইপো মিঠুন কান্দু ৭৭৬ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন।