Jhalda Municipality : ‘সত্যের জয়’, ঝালদায় কংগ্রেসের ‘বহু প্রতীক্ষিত’ জয়ে প্রতিক্রিয়া তপন কান্দুর স্ত্রীর – deceased congress leader tapan kandu wife purnima kandu gives her reaction on jhalda municipality


West Bengal Local News: দীর্ঘ টালবাহনার পর সোমবার ঝালদা পুরসভা (Jhalda Municipality) দখল করল কংগ্রেস (Congress)। আদালতের নির্দেশে সোমবার ঝালদা পুরসভায় আস্থা ভোট হয়। সেই ভোটে ৭-০ ব্যবধানে জয়ী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডর কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। ৬ কংগ্রেস কাউন্সিলরের সমর্থনে ভোটে জিতেছেন শীল। ঝালদা পুরসভা আবার কংগ্রেসের হাতে যাওয়ায় নতুন করে প্রাসঙ্গিক তপন কান্দু ইস্যু। ২০২২ সালের পুরসভা ত্রিশঙ্কু হওয়ার পর বোর্ড গঠনের আগেই খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। এই নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এদিনের ঝালদা পুরসভা পুনরায় কংগ্রেসের হাতে যাওয়ার পর মুখ খুলেছেন নিহত তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আজকে সত্যের জয় হয়েছে। আমরা প্রথম থেকেই পূর্ণ আশা নিয়ে এই লড়াই করেছি । আজ আমাদের সেই ইচ্ছা পূর্ণ হয়েছে।’

Jhalda Municipality : দীর্ঘ দড়ি টানাটানির অবসান, ঝালদা পুরসভা কংগ্রেসেরই
এদিন পুরসভায় কংগ্রেসের এই জয়ের পর প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাতো। তিনি বলেন, ‘মহামান্য হাইকোর্টে নির্দেশে চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেখানে নির্দল শীলা চট্টোপাধ্যায় কংগ্রেসের সমর্থনে চেয়ারম্যান হয়েছে। আদালত জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন পরিচালন নির্দেশ দিয়েছিলেন। জেলাশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় SDO। নির্বাচন পরিচালনায় তিনি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছেন। আমরা আদলতকে জানাবো গোটা বিষয়টা। তাঁর উপস্থিতিতে কয়েকজন কাউন্সিলর ব্যালট পেপার নিয়ে বাইরে বেরিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। ঝালদা পুরসভায় বহু প্রতীক্ষিত জয় এসেছে। আগামিকাল আদালতে এই রিপোর্ট জেলাশাসক পেশ করবেন। ঝালদার মানুষকে অনেক ধন্যবাদ।’

Sitaram Yechury : ‘বিজেপি বিরোধীদের একত্রিত হতে হবে’, ফের বাম-কংগ্রেস জোটের ইঙ্গিত ইয়েচুরির

অন্যদিকে ঝালদা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কাউন্সিলর সুরেশ আগরওয়াল বলেন, ‘ভোটদান প্রক্রিয়া অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু, ভোটদান প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বেআইনি। ভোটের সময় সবাইকে একসঙ্গে ব্যালট পেপার দেওয়ার নিয়ম নেই। আমি বাধা দিয়েছি। আমি আমরা সেই কারণে ভোট দিইনি। এবার ভোট আইনি না বেআইনি তা আদালত বিচার করব। আমরা তো আদালতের দ্বারস্থ হয়েই আছি। ১১টি ব্যালট ইস্যু হয়েছে। ৭টি জমা পড়েছে, ৪টি পড়েনি। তবে ভোট প্রক্রিয়া কীভাবে শেষ হল।’

Balurghat News : ক্লাবের পিকনিক নিয়ে গন্ডগোল, রাতের অন্ধকারে মহিলা তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলা
উল্লেখ্য, মার্চ মাসের পুরসভা নির্বাচন হয়েছিল। ২ নম্বর ওয়ার্ডে ভাইপো তৃণমূলের দীপক কান্দুকে ১২৭ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন তপন। তারপরই ১৩ মার্চ তপনকে খুন করা হয়। তাঁর মৃ্ত্যুর তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের ওপর। ২ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে তপনের আরেক ভাইপো মিঠুন কান্দু ৭৭৬ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *