দীর্ঘ নয় মাস পর বাড়ি ফেরেন তিনি। সেই আনন্দে বাবা গোবর্ধন গোস্বামী গ্রামের মানুষকে খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। গ্রামের মানুষ তার ভক্তির পরীক্ষা নেওয়ার জন্য কাঁচা আমের ঝোল ও ইলিশ মাছ খাওয়া আবদার করে। তিনি তখন বাড়ির পাশে আম গাছ থেকে জোড়া আম ও পাশের জলাশয়ে জাল ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সেই অনুযায়ী জাল ফেলতেই মেলে জোড়া ইলিশ। এরপর প্রত্যেক বছর ভক্তরা রাধা গোবিন্দ মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি মাছের মেলার আয়োজন করে থাকেন। সেই সময় থেকেই পয়লা মাঘ উত্তরায়ন মেলা চলে আসছে।দূর দূরান্ত থেকে বহু মাছ ব্যবসায়ী নদী,পুকুর ছাড়াও বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের পসরা নিয়ে আসেন এই মাছের মেলাতে এবং তা বিক্রি করেন। হুগলি ছাড়াও বর্ধমান, হাওড়া, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা,বাঁকুড়া থেকেও মানুষ এই মেলায় লোকজন ভিড় করেন। মাছে ভাতেই বাঙালি। তাই একসঙ্গে এত মাছ দেখে স্বাভাবিকভাবেই খুশি হন তাঁরা। ৫০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা কেজি দরে সেখানে মাছ বিক্রি হয়। শুধু মাছ বিক্রিই নয়, অনেকে পাশের আমবাগানে পিকনিকের আয়োজনও করেন অনেকেই। এই মাছের মেলায় অংশ নেওয়া এক ব্যক্তি বলেন, “এখানে সমস্ত ধরনের মাছ পাওয়া যায়। জ্যান্ত মাছ কিনে তা বাড়িতে নিয়ে যেতে চাই। তাই এই মাছের মেলায় অংশ নেওয়া।”
