এদিন মানুষের একাকীত্ব প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”অনেকে আছেন বাইরে যাওয়াটা নেশা। প্রচুর আয় করলাম। কিন্তু একটা অসুখ হলে দেখার কেউ নেই। অন্যদিকে, বাবা মায়েদের দিক থেকে দেখলে, জীবনের ২৫টা বছর ছেলে মেয়েকে মানুষ করতে চলে গেল। আর শেষ জীবনে পড়ে রইল একাকীত্ব। কাউকে বৃদ্ধাশ্রম চলে যেতে হচ্ছে আর কারও হয়তো বাথরুমে পড়ে গেলে তুলে নিয়ে যাওয়ারও লোক নেই। পরিবার-পরিজনকে নিয়ে থাকা আনন্দের না ওই জীবনটা আননদের আপনিই বলুন তো।”
এখানেই শেষ নয়, বাইরে যাওয়ার থেকে এরাজ্যের থেকে পাওয়া সুযোগ সুবিধাগুলি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”বাইরে ইনকাম অনেক হতে পারে, কিন্তু খাওয়া, গাড়ি ভাড়া, বাড়ি ভাড়া যা খরচ, তার থেকে এখানে থেকে কম খরচায় ভালো জীবন কাটানো সম্ভব । নিজে হিসেব করুন না, কলকাতায় এক লাখ টাকায় ডুগডুগি বাজিয়ে আমি ভালো জীবন কাটাতে পারব। বেশি খেলেও খরচা হয় না। মা ক্যান্টিন আছে। ফ্রি রেশন আছে। ফ্রি চিকিৎসা পরিষেবা আছে। অনেক সুবিধে। সব থেকে বড় পরিবারের সবার সঙ্গে মিশে থাকার আনন্দ আলাদা। জীবনে বহু কোটির টাকার মালিক হলেন, কিন্তু শারীরিকভাবে সুস্থ নন। মানসিক স্বাস্থ্য যদি আপনার ভালো না হয়, কথা বলার জন্য পরিবার না থাকে, একাকীত্ব আপনাকে গ্রাস করবে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনে হবে পেটে ব্যথা, দুপুরে মাথা ব্যথা, সন্ধেবেলা হৃদয়ে ব্যথা, রাতে ঘুমে ব্যথা, এগুলি কি আপনাকে ভালো জীবন দেবে?”
উল্লেখ্য, এদিনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএম-এর চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন,” SSKM -এ অঙ্কোলজি বিভাগে খুব ভালো কাজ হচ্ছে। টাটা থেকে ফিরিয়ে দেওয়া ক্যানসার রোগীকেও এসএসকেএম হাসপাতাল আরও এক দেড় বছর তাঁকে জীবনের স্বাদ দিয়েছে।” একইসঙ্গে রাজ্যে আর ছয়টি মেডিক্যাল কলেজ তৈরির কথাও বলেন তিনি।