Park Street : পার্ক স্ট্রিটের জনতাকে গান শুনিয়ে বাবার চিকিৎসার অর্থ সংগ্রহ, চর্চায় শুভমের লড়াই – subham debnath of st xaviers college kolkata doing busking for his fathers treatment in park street


অরিজিৎ দে, কলকাতা : শীতের রবিবার। পার্ক স্ট্রিটের ব্যস্ত রাস্তা। ক্রিসমাস চলেও গেলে, কলকাতার অন্যতম বিলাসবহুল এলাকার জৌলুস এতটুকুও কমেনি। যেদিকেই চোখ যায় যুবক-যুবতীদের ভিড়, সপ্তাহান্তে পার্ক স্ট্রিটে ঠিক যেমনটা হয় আর কী। কারও গন্তব্য পার্ক হোটেল লাউঞ্জ (The Park Hotel), কেউ বা ট্রিঙ্কাসমুখী (Trinacas)। Weekend-টা চুটিয়ে উপভোগ করে নিয়ে আবার সোমবার থেকে ব্যস্ত কর্মজীবনে ফিরে যাওয়া। ঠিক তখনই পার্ক স্ট্রিটের জনপ্রিয় জনপ্রিয় অলি পাবের সামনে গিটার হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল বছর কুড়ি-একুশের এক যুবককে। সামনে রাখা একটি কাগজের বাক্স, তাতে বেশ কিছু ১০০ ও ২০০ টাকার নোট। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঝুলন্ত গিটার সুরের ঝংকার, শুরু হল বলিউডের জনপ্রিয় গান। পথ চলতি অনেকেই ওই গন্তব্য যাওয়ার পথে যুবকের দিকে তাকাচ্ছেন। কেউ আবার কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে তাঁর গান শুনছেন।

Mamata Banerjee: ‘কলকাতায় এক লাখ টাকায় ভালো লাইফ এনজয় করতে পারবে’, পেপ টক মমতার
বিষয়টা ঠিক কী? হঠাৎ করে তাঁর পাশের রেলিংয়ে সাদা একটি পোস্টার চোখে পড়তেই বিষয়টা স্পষ্ট হল। পোস্টারে লেখা, ‘আমার বাবাকে সপ্তাহে তিনবার ডায়ালেসিস করাতে হয়, সেই কারণে আমি এখানে দাঁড়িয়ে গান করছি। বাবা চিকিৎসা ও পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করার পাশাপাশি আমি কলেজের পড়াশুনোর ফিও যোগাড় করা চেষ্টা করছি। আপনার নিজেদের সামর্থ্য মতো টাকা দিয়ে সাহায্য করুন।’

Durnibar : ৯ মার্চ বিয়ের পিঁড়িতে দুর্নিবার, পাত্রীকে চেনেন?
অলি পাবের বাইরে থাকা শুভম দেবনাথের সঙ্গে কথা বলল এই সময় ডিজিটাল। নিজের জীবন সংগ্রামের কথা জানালেন শুভম। কেন তিনি বাস্কিং (বিশেষ উদ্দেশ্যে রাস্তা দাঁড়িয়ে গান করে অর্থ সংগ্রহ) করেন জানালেন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের তৃতীয় বর্ষের এই পড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘আমি সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের বি.কম তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া। একটা বিশেষ কারণের জন্য আমি এখানে বাস্কিং শুরু করি। আমারা বাবা ডায়ালেসিস হয়। এভাবেই আমি আমার পরিবারকে এভাবেই সাহায্য করা চেষ্টা করি।’

Seuli Saha On Actor Dev : ‘মিঠুনদা আমি বাবা-ছেলের মতো…’, দেবের মন্তব্যে পালটা খোঁচা তৃণমূল বিধায়কের
বেহালা ঠাকুর পুকুরের বাসিন্দা শুভম বলেন, ‘আমি এখানে প্রায় ছ’মাস ধরে বাস্কিং (Busking) করছি। আমার বাবার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ডায়ালেসিস (Dialysis) হয়। শুরুর সময় অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছিল, কিন্তু এখন সে অনেকটা ভালো আছেন। আমি ভাবে বাস্কিং করে বাবার চিকিৎসায় সাহায্য করেছি। এখান থেকে অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন শো করার সুযোগও পেয়েছি। আমি বাস্কিং চালিয়ে যাব। আশা করি আরও অনেক শো পাব।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *