বিষয়টা ঠিক কী? হঠাৎ করে তাঁর পাশের রেলিংয়ে সাদা একটি পোস্টার চোখে পড়তেই বিষয়টা স্পষ্ট হল। পোস্টারে লেখা, ‘আমার বাবাকে সপ্তাহে তিনবার ডায়ালেসিস করাতে হয়, সেই কারণে আমি এখানে দাঁড়িয়ে গান করছি। বাবা চিকিৎসা ও পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করার পাশাপাশি আমি কলেজের পড়াশুনোর ফিও যোগাড় করা চেষ্টা করছি। আপনার নিজেদের সামর্থ্য মতো টাকা দিয়ে সাহায্য করুন।’
অলি পাবের বাইরে থাকা শুভম দেবনাথের সঙ্গে কথা বলল এই সময় ডিজিটাল। নিজের জীবন সংগ্রামের কথা জানালেন শুভম। কেন তিনি বাস্কিং (বিশেষ উদ্দেশ্যে রাস্তা দাঁড়িয়ে গান করে অর্থ সংগ্রহ) করেন জানালেন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের তৃতীয় বর্ষের এই পড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘আমি সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের বি.কম তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া। একটা বিশেষ কারণের জন্য আমি এখানে বাস্কিং শুরু করি। আমারা বাবা ডায়ালেসিস হয়। এভাবেই আমি আমার পরিবারকে এভাবেই সাহায্য করা চেষ্টা করি।’
বেহালা ঠাকুর পুকুরের বাসিন্দা শুভম বলেন, ‘আমি এখানে প্রায় ছ’মাস ধরে বাস্কিং (Busking) করছি। আমার বাবার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ডায়ালেসিস (Dialysis) হয়। শুরুর সময় অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছিল, কিন্তু এখন সে অনেকটা ভালো আছেন। আমি ভাবে বাস্কিং করে বাবার চিকিৎসায় সাহায্য করেছি। এখান থেকে অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন শো করার সুযোগও পেয়েছি। আমি বাস্কিং চালিয়ে যাব। আশা করি আরও অনেক শো পাব।’