এই প্রসঙ্গে বারাসত পুলিশের (Barasat District Police) সুপার রাজ নারায়ণ মুখোপাধ্যায়কে এই সময় ডিজিটালের তরফে ফোন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে।’ আক্রান্ত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি সামনে আসতেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটাই পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের সুরক্ষা কবচ। ক্যামেরা ও সংবাদমাধ্যমের সামনে গোটা ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যাওয়ার কারণে গোটা রাজ্যজুড়ে চর্চা চলছে। কোনও পরিবারের সন্তাকে খুন করে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হতে পাকে। এটাই তৃণমূলের দূত যাত্রা।’
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘যে তৃণমূলকর্মী প্ররোচনায় পা দিয়ে এই কাজ করেছেন, তিনি অন্যায় করেছেন। এই চড় মারার কাজকে দলকে সমর্থন করে না। যেখানে একটি দলের ঘোষিত কর্মসূচি চলছে, সেখানে অন্য কোনও দলের নেতা যদি ঢুকে অসভ্যতা করেন, সেটাও ঠিক নয়। কোন তৃণমূলকর্মী যদি অভিযোগ করে থাকে, সেটা তো স্বাভাবিক ব্যাপার।’
শনিবার দত্তপুকুরের ইছাপুরে নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়া এই ঘটনাটি ঘটেছিল। দিদির সুরক্ষা কবচ চলাকালীন মন্ত্রী রথীন ঘোষের কাছে রাস্তা নিয়ে অভিযোগ করেন ওই বিজেপি কর্মী। তখনই তাঁকে সপাটে চড় মারে তৃণমূলকর্মী শিবম রায়।