পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জনের বাড়ি কলকাতার বালিগঞ্জ (Ballygunge) এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে তারা ১টি স্কুটারে করে কলকাতা (Kolkata) থেকে বর্ধমান (Bardhaman) আসছিলেন বিয়েবাড়িতে যোগ দিতে। এরপরেই বর্ধমানের জাতীয় সড়কের রামমুদি কলোনী এলাকায় তাদের স্কুটারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে ছিটকে যায় দু’জনেই। পিছন থেকে আসা একটি ট্রাক সন্দীপ নস্করকে পিষে দেয়। ঘটনায় আহত হন মিন্টু মাঝি। দুর্ঘটনার দেখে ঘটনাস্থলে জড়ো হন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় বর্ধমান থানার (Bardhaman Police Station) পুলিশকে। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুজনকেই উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Burdwan Medical College and Hospital) নিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সন্দীপ নস্করকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। আহত মিন্টু মাঝির চিকিৎসা চলছে বর্ধমান হাসপাতালে। মঙ্গলবার সন্দীপের মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় বর্ধমান পুলিশ মর্গে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্কুটারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিজে থেকেই রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে। পেছন থেকে একটি ট্রাক চলে আসার ফলেই বিপত্তি ঘটে। কোনওভাবে রাস্তার উপর স্কুটারের চাকা পিছলে যায়। যার পরিণতি এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসেও বর্ধমানে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় তিন বাইক আরোহীর। মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) ২ নং জাতীয় সড়কের গলসি থানার পারাজ মোড় এলাকায়। মৃত ব্যক্তিদের নাম বাবুল কোনাই(৪৫), রাহুল বাগদীর (১৮) এবং জয়দেব বাগদীর (২৮)। ঘটনাস্থলে হাজির হয় গলসি থানার (Galsi Police Station) পুলিশ। কাঁকসা থানার বাঁদরা গ্রাম থেকে গলসির গলিগ্রামে বাইকে করে আসছিলেন তিন ব্যক্তি। যাওয়ার পথে ২ নং জাতীয় সড়কের পারাজ মোড়ে পিছন থেকে বাইকটিকে ধাক্কা মারে একটি নিয়ন্ত্রণহীন ট্রাক। পেছন থেকে এসে কার্যত বাইকটিকে পিষে দেয় ট্রাকটি। ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হয় তিনজনেই। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
