এই বিষয়ে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক (Jhargram DM) সুনীল কুমার আগরওয়াল বলেন, “জানুয়ারির ১৮, ১৯ এবং ২০ তারিখ, এই তিনদিন ধরে অনুষ্ঠিত হবে জঙ্গলমহল উৎসব। রাজ্যের ৯টি জেলাতে জঙ্গলমহল উৎসব পালিত হবে। শুধু ঝাড়গ্রাম নয়, ৯টি জেলাতেই জেলাস্তরের জঙ্গলমহল উৎসব হবে।” জেলাশাসক আরও জানান, “বিভিন্ন সরকারি দফতরের স্টলের পাশাপাশি একটি কারিগরি হাট থাকছে। যারা হস্তশিল্পের কাজ করেন বা যেসব শিল্পী রয়েছেন, তাঁদের মতন স্থানীয়দের জিনিস বেচা কেনার জন্যই এই কারিগরি হাট। তিনদিন ধরে মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে বিভিন্ন ধরনের নাচ গানের অনুষ্ঠান।” বিভিন্ন জেলার শিল্পীদের অনুষ্ঠান নিয়ে বলতে গিয়ে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক বলেন, “যেহেতু ৯টি জেলাতেই জঙ্গলমহল উৎসব হচ্ছে, তাই রাজ্যের বাকি জেলা থেকে সেরকম কোনও শিল্পী থাকছেন না। কেবলমাত্র লোকশিল্পীদের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।”
পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতর ও পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্যদের উদ্যোগে প্রত্যেক বছর জঙ্গলমহল রাজ্যস্তরীয় উৎসব হত ঝাড়গ্রামে। ফলে কোটি কোটি টাকা খরচ হত। ২০২১ সালে করোনা মহামারীর সময় ৮ দিন ধরে জঙ্গলমহল উৎসব পালিত হয়েছিল। সেইবার ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমান এই পাঁচটি জেলার প্রায় দু’হাজার লোকসংস্কৃতি দলের প্রায় ৮ হাজার লোকশিল্পী এই উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন। চাং, রণ-পা, পাতা, পাইক, ভাদু, টুসু, ঝুমুর, সাড়পা, নাটুয়া, বাহা, ভুয়া, ছৌ, ঘোড়া নাচ, বাউল গান সহ নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছিল।
গত বছরও করোনা বিধি মেনে ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি জঙ্গলমহল উৎসব হয়েছিল। খরচ হয়েছিল প্রায় কোটি টাকা। তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, এবার খরচ এক ধাক্কায় এক চতুর্থাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই ব্লকস্তরের অনুষ্ঠানও হবে না।