স্থানীয় সূত্রে খবর, মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নাবালিকার পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। ঘটনাস্থল থেকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (Jhargram Medical College and Hospital)। বর্তমানে ওই নাবালিকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই পথ দুর্ঘটনার পরেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ফুলবেড়িয়া গ্রামের উত্তেজিত জনতা দহিজুড়ি হয়ে লালগড় (Lalgarh) যাওয়ার রাস্তাটিতে ফুলবেড়িয়া গ্রামের মধ্যে ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ শুরু করে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ এক মাসের মধ্যে ফুলবেড়িয়া গ্রামের কাছেই পাঁচ থেকে ছ’টি পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এমনকি মকর সংক্রান্তির দিনে সকাল থেকে ফুলবেড়িয়া গ্রামে তিনটি পথ দুর্ঘটনা ঘটে। কিছুদিন আগে ফুলবেড়িয়া গ্রামে পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মোটরবাইকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল একজনের। প্রতিনিয়ত ফুলবেড়িয়া এলাকায় পথ দুর্ঘটনা ঘটার কারণে গ্রামবাসীরা পুলিশ ও প্রশাসনকে স্পিড ব্রেকার (Speed Breaker) বসানোর দাবি জানান। কিন্তু প্রতিবার দুর্ঘটনা হলে পুলিশ প্রশাসন স্পিড ব্রেকার বসানোর আশ্বাস দেন এবং তারপরে আর স্পিড বেকার বসানো হয় না বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা।
এদিন এই পথ দুর্ঘটনার পরে ফুলবেড়িয়ার গ্রামের বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে স্পিড ব্রেকার বসানোর দাবীতে পথ অবরোধ শুরু করেন। পথ অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিনপুর থানার পুলিশ (Binpur Police Station)। অবশেষে পুলিশের আশ্বাসে প্রায় দু’ঘন্টা পরে পথ অবরোধ তুলে নেন ফুলবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দারা।
এই বিষয়ে ফুলবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা লক্ষণ মাহাত বলেন, “প্রতিনিয়ত ফুলবেড়িয়া এলাকায় পথদুর্ঘটনা ঘটছে। পুলিশ প্রশাসনকে এলাকায় স্পিড ব্রেকার বসানোর জন্য বহুবার জানানো হয়েছে তারা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। আজ পথ দুর্ঘটনা ঘটার পর আমরা বাধ্য হয়ে পথ অবরোধ শুরু করি। পুলিশ আমাদের লিখিত দিয়েছে সাত দিনের মধ্যে এলাকায় স্পিড ব্রেকার বসানো হবে। তারপরে আমরা পথ অবরোধ তুলেছি।”
এরপরেও যদি পুলিশ প্রশাসন তাঁদের দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে আরও বড় আন্দোলনের দিকে যাওয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছেন গ্রামবাসীরা। দৃঢ় কণ্ঠে তাঁদের ঘোষণা, ফুলবেড়িয়া গ্রাম ও সংলগ্ন এলাকাগুলিকে পথ দুর্ঘটনা মুক্ত তাঁরা করবেনই। আশেপাশের অন্যান্য গ্রামগুলির মানুষদেরও এই গ্রামের বাসিন্দারা একই ভাবে আন্দোলন করার আহ্বান দিয়ে রাখছেন।