সোনারপুরের কালিকাপুর-১ পঞ্চায়েতের পূর্ব মন্দিরপাড়ায় বাড়ি যাদবপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর। বাড়িতে তাঁর ৪ ভাই এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা থাকেন। নিজের এলাকার অধীনে থাকায় মন্দিরপাড়া এলাকায় এদিন ” দিদির সুরক্ষা কবচ” নিয়ে যান লাভলি মৈত্র। অন্যান্য গ্রামবাসীদের পাশাপাশি এদিন সুজন চক্রবর্তীর পরিবারের সদস্যের সঙ্গেও দেখা করেন লাভলি। বাইরে এসে লাভলি জানান, ” আমার দল আমকে যে দায়িত্ব দিয়েছে দিদির দূত কর্মসূচি পালন করার, সেটা পালন করতেই এখানে এসেছি। আজকে উনি বাড়িতে ছিলেন না। ওঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। দিদির সুরক্ষা কবচ মানুষের বাড়ি, বাড়ি পৌঁছে যাবে, সেটা বলতে এসেছিলাম।
সুজন চক্রবর্তী বাড়িতে না থাকায় ফোনের মাধ্যমে বিধায়িকার সঙ্গে কথাও হয় তাঁর। তিনি বাড়ি থাকাকালীন একদিন চা চক্রের আমন্ত্রণ করেন সুজন। অন্যদিকে, সুজনের পরিবারের তরফে পানীয় জলের সমস্যা এবং এলাকায় একটি রাস্তা মেরামতির ব্যাপারে অভিযোগ জানান হয়। বিষয়টি নিয়ে লাভলি বলেন, ” এলাকায় একটি রাস্তার কথা বলা হয়েছে, এই রাস্তা মেরামত করার জন্য ইতিমধ্যে অর্থ অনুমোদন করা হয়েছে। কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে। এছাড়া রাজ্য সরকারের জল প্রকল্পের কাজ চলছে। সেই কাজ শেষ হলে জলের সমস্যাও আর থাকবে না।” উল্টোদিকে, সুজন চক্রবর্তীর ভাই রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ” উনি আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন, আমাদের এখানে আগে দিনে তিনবার জল পাওয়া যেত, এখন সেটা দুবার পাওয়া যায়। সেটা বলেছি। আর সামনের রাস্তা দিয়ে অনেক স্কুলের qছেলেমেয়েরা যাতায়াত করেন, সেই রাস্তা মেরামত করার প্রয়োজন রয়েছে। সেটাই ওঁকে বলেছি আমরা।
দলীয় কাজে আপাতত পূর্ব মেদিনীপুরে আছেন সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। এখনও পর্যন্ত একদিনও মুখোমুখি দেখা হয়নি দুই রাজনৈতিক জন প্রতিনিধির। সে কারণেই একদিন চা খেতে আসার নিমন্ত্রণ জানান সুজন চক্রবর্তী। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দেন লাভলি মৈত্রও। সুজন চক্রবর্তী বাড়িতে না থাকলেও তাঁর দাদা রতন চক্রবর্তী ও ভাই রঞ্জন চক্রবর্তী এবং স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলেন লাভলি।