বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ যারা এই প্রকল্পে প্রকৃত ঘর পাওয়ার কথা তাদের নাম ইচ্ছে করে কেটে দেওয়া হয়েছে। যদিও সেকথা মানতে রাজি হয়নি তৃণমূল। কেন্দ্রীয়দল ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে যেতেই শুরু হয় তুমল বচসা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশকর্মীরা। তাদের হস্তক্ষেপেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। উল্লেখ্য, রাজ্যে আবাস যোজনা নিয়ে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছিল। যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখেতে রাজ্যে পা রেখেছে কেন্দ্রীয় দল। আর তখনই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। উল্লেখ্, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তদন্তে নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে গিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের চকদিগনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নাদুরিয়া গ্রামে আবাস যোজনার তালিকায় নাম থাকা মানুষের বাড়ি বাড়ি সরজমিনে তদন্তে যান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
আবাস যোজনার বেনিয়মের যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এর আগে পূর্ব মেদিনীপুর ও মালদার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখছিলেন কেন্দীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। পূর্ব মেদিনীপুর পৌঁছতেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে। অন্যদিকে মালদাতে জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে এলাকা ঘুরে দেখে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির প্রশাসনিক সভা থেকে কেন্দ্রীয় দল নিয়ে আক্রমণের পাশাপাশি তৃণমূলকর্মীদেরও সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘কথায় কথায় কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মনে হচ্ছে এটাই যেন সবথেকে ভালো ঘুরে দেখার জায়গা। দিল্লি, গুজরাট, উত্তর প্রদেশে এত ঘটনা ঘটলেও সেখানে কোনও কেন্দ্রীয় দল যায় না… কেউ যদি কোনও কিছু নিয়ে থাকেন মানুষকে গিয়ে ফেরত দিয়ে দিন। বারবার করে মানুষের কাছে ক্ষমা চান, মানুষ ঠিক ক্ষমা করে দেবে।’
