এই বিষয়ে ওই বাড়ির মালিক জানান, “আমি এবং আমার স্ত্রী সকালবেলা দোকান বাজার করতে বেরিয়েছিলাম। সেই সময় বাড়ি ফাঁকাই ছিল। এই বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগেই পাঁচিল টপকে বাড়ির ভিতর ঢুকে যায় চোরটি। অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়েই চলে অবাধে চুরি (Theft)। সাত সকালে সুযোগ পেয়ে সোনার গয়না, টাকা-পয়সা ও একাধিক মূল্যবান জিনিস চুরির চেষ্টা করে।” ঠিক সেই সময়েই বাজার সেরে বাড়ির পথে পা বাড়ান ওই দম্পতি।
তারপরের ঘটনা প্রসঙ্গে বাড়ির মালিক বলেন, “পালানোর সময় জিনিস সমেত হাতেনাতে পাকড়াও হয় ওই ব্যক্তি। পালানোর কয়েক মুহূর্ত আগেই ঘটনাচক্রে আমি বাড়িতে হাজির হই। সঙ্গে সঙ্গে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় চোরটি। লোকটিকে আটকে রেখে আমি বাকি এলাকাবাসীদের খবর দিই।” তারপরেই এলাকাবাসীর হাতে চলে চোরের গণধোলাই। তবে ওই দম্পতির বক্তব্য অনুযায়ী চোরের কাছ থেকে সব জিনিষপত্রই উদ্ধার করা হয়েছে।
বেশ কিছুক্ষণ ধোলাই দেওয়ার পরে এলাকা থেকে তমলুক থানায় (Tamluk Police Station) খবর পাঠানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় তমলুক থানার পুলিশ (Tamluk Police Station)। তারপর চোরটিকে এলাকাবাসীদের হাত থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই চোর এর আগে আর কোন কোন এলাকায় চুরির কাণ্ড করেছে, সেই সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে খোঁজখবর চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি এলাকার গৃহস্তদের আরও সাবধান হওয়ার, এবং এলাকাবাসীদের চুরি আটকানোর ব্যাপারে সচেতন হওয়ার পরামর্শও দিচ্ছে পুলিশ।