‘প্রায়ই কথা হত, মঙ্গলবার বাড়িতে নিমন্ত্রণও করেছিলেন…’ বাকরুদ্ধ একেনবাবু অনির্বাণ


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বুধবার সকালেই দুঃসংবাদ শুনলেন সাহিত্যপ্রেমী ও সিনেপ্রেমীরা। চলে গেলেন একেন বাবুর স্রষ্টা সুজন দাশগুপ্ত। আমেরিকাবাসী সুজন দাশগুপ্ত সম্প্রতি কলকাতায় আসেন। আগামী ওয়েব সিরিজ নিয়ে তাঁর কথাও চলছিল জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, অনির্বাণ চক্রবর্তী ও চিত্রনাট্যকার পদ্মনাভ দাশগুপ্তর সঙ্গে। এর মাঝেই লেখকের অকাল প্রয়াণে কার্যত বাকরুদ্ধ পর্দার একেন বাবু অনির্বাণ চক্রবর্তী।

পর্দার একেন বাবু অর্থাৎ অনির্বাণ চক্রবর্তীর গলায় শোনা গেল বিষন্নতার সুর। জি ২৪ ঘণ্টাকে তিনি বলেন, ‘আমার শুনে অবিশ্বাস্য লাগছে। উনি তো কলকাতায় থাকেন না, তবে বর্তমানে কলকাতাতে ছিলেন। প্রায়দিনই আমার সঙ্গে কথা হয়। ডিসেম্বরের শেষে একেন বাবু এবার কলকাতায় রিলিজের সময় ইভেন্টে দেখা হয়। মাঝে উনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেও কথা হয়। ওঁর বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। খুবই শকিং। এই সংবাদ শোনার পর খুবই মনখারাপ। বয়সজনিত কারণে একটু অসুস্থতা ছিল। সেগুলো এমন কিছু না। কী যে হয়ে গেল।’

আরও পড়ুন- Eken Babu: স্রষ্টার আকস্মিক মৃত্যু, রহস্যের ঘেরাটোপে একেনবাবুর ভবিষ্যত!

অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমি ওঁকে খুবই সম্মান করি। আমি অনেকের কাছে আগে একেনবাবু, তারপর অনির্বাণ চক্রবর্তী। এই একেনবাবু যাঁর হাতে তৈরি, তিনি যে আর নেই, এই খবরেই আমার মন ভেঙে যাচ্ছে। সুজনদা খুবই প্রতিভাশালী ও মজার মানুষ। উনি বলতেন যে একেনবাবুকে তিনি অন্যরকমভাবে স্ক্রিনে দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যবে থেকে সিরিজে আমাকে দেখেছেন, তারপর থেকে একেনকে আমি ভেবেই উনি লেখেন। এটা আমার কাছে বড় পাওনা। সুজনদাকে খুব মিস করব।’

সুজন দাশগুপ্তের আকস্মিক মৃত্যুতে ব্যথিত গোটা হইচই পরিবার। এই ওয়েব প্ল্যাটফর্মের তরফ থেকে সৌম্য মুখোপাধ্যায় জানান যে, ‘তিনি শুধু একেন্দ্র সেনের স্রষ্টা নন, যেভাবে একেনবাবু দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছে, তিনি সেই স্মৃতি ও অভিজ্ঞতারও অংশ। সুজন দাশগুপ্ত আমাদের পরিবারের অংশ। তাঁর মৃত্যু সত্যিই বেদনা দায়ক। উনি কখনই অতীত হতে পারেন না আমাদের কাছে। একেন বাবুর হাত ধরে আমাদের মনে উনি আজীবন থাকবেন।’

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *