Asansol News : মাছ পরল পাতে, মুখে পড়ল সোনা – gold gold jewellery was found in stomach of a rohu fish in rupnarayanpur


এই সময়, আসানসোল: ‘মাছের পেট চিরতে সাত রাজার ধন এক মানিকের আংটি জ্বলন্ত আগুনের মতো ঠিকরে পড়ল… যার মাছ তার আনন্দের সীমা রইল না।’

জালে ওঠা রুই মাছের পেট থেকে আংটি পেয়ে ‘আকাশের চাঁদ হাতে’ পেয়েছিলেন গরিব জেলে। সেই আংটিই মিলিয়ে দিয়েছিল রাজা দুষ্মন্ত ও শকুন্তলাকে। পৌরাণিক এই কাহিনিরই যেন আংশিক পুনরাবৃত্তি হলো রূপনারায়ণপুর (Rupnarayanpur) সীমান্তপল্লির বাসিন্দা কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের বাস্তবের জীবনে।

Kolkata Market Price: সবচেয়ে সস্তায় মিলছে আলু, কোন মাছের দাম রয়েছে কত?
রোজকার মতো মঙ্গলবার সকালে রূপনারায়ণপুর (Rupnarayanpur) বাজারে গিয়েছিলেন চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালের কর্মী কৃষ্ণেন্দু। ভালো ভোলা মাছ চোখে পড়তেই পাঁচশো গ্রামের মতো কিনে বাড়ি ফেরেন। সরষে দিয়ে মাখা মাখা করে সেই মাছ রান্না করেন তাঁর গিন্নি। এর পর শীতের দুপুরে গরম ভাত-মাছ জমিয়ে খেতে বসেই বিস্ময়। একগ্রাস তুলে কামড় দিতেই শক্ত কিছু একটা বাধে কৃষ্ণেন্দুর মুখে। কাঁকর মনে করে বিরক্ত হলেও যখন সেটি পাতে ফেলেন, দেখা যায় কাঁকড় নয়, সেটি আসলে একটি নাকছাবি। পরীক্ষা করে দেখা যায় নাকছাবিটি সোনার। যা দেখে যারপরনাই উল্লসিত বছর চল্লিশের কৃষ্ণেন্দু। তিনি জানান, অনেক গল্প, কবিতায় এমন কাহিনি পড়লেও, সংবাদপত্রে এ জাতীয় খবর পড়লেও তাঁদের জীবনে যে এমন ঘটবে তা স্বপ্নেও ভাবেননি। কী করবেন এই সোনার নাকছাবি দিয়ে? কৃষ্ণেন্দু বলেন, “আশ্চর্য প্রাপ্তির স্মারক হিসেবে বাড়িতেই রেখে দেবো।”

Kestopur Fish Mela : রুই-কাতলা-ইলিশ সঙ্গে জ্যান্ত মাছের ছড়াছড়ি, কলকাতা থেকে সামান্য দূরে মাছের মেলায় গিয়েছেন কখনও!
স্থানীয় বাসিন্দা ও অধ্যাপক অনাথবন্ধু চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অতীতে এমন কখনও শুনিনি। পৌরাণিক কাহিনিতে রুই মাছের পেট থেকে সোনার আংটি পেয়ে হারানো পরিচিতি ফিরে পেয়েছিলেন শকুন্তলা। আর রূপনারায়ণপুরের কৃষ্ণেন্দুবাবু পেলেন বিস্ময়ের খোঁজ। এটা অবশ্যই এক অদ্ভুত প্রাপ্তি বলা যায়।” রূপনারায়ণপুর বাজারের (Rupnarayanpur Market) মাছ বিক্রেতা নিমাই ধীবর বলেন, “বড় বড় মাছগুলো তো আমরা কেটে ভাগ করে দিই। কিন্ত এত বছরের মাছ বিক্রির জীবনে প্রথম শুনলাম এমন ঘটনা। এটা লটারি পাওয়ার মতোই।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *