স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লাভপুরের দরবারপুর গ্রামে তিনদিন আগে শুরু হয়েছিল পীরবাবার মেলা। মঙ্গলবার রাতে সেই মেলাকে কেন্দ্র করেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। পরবর্তী কালে বচসা হাতাহাতিতে গড়াতেই এলাকায় শুরু হয় বোমবাজি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে বড়সড় কোনও সংঘর্ষ এড়াতে মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। ইতিমধ্যেই এই বোমবাজির ঘটনার তদন্তে নেমেছে লাভপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রামবাসীরা আতঙ্কতি বলে জানা গিয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে বোমা উদ্ধারের মতো ঘটনা ঘটেছিল। বাংলায় যে বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে এদিনের ঘটনা থেকে তা আরও একবার প্রমাণিত হল। লাভপুরের এই বোমাবাজি নিয়েও শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী তরজা। দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশাসনে এই ধরনের ঘটনা স্বাভাবিক। পুলিশ আক্রান্ত হচ্ছে, বোঝাই যাচ্ছে যে রাজ্যে আইনের শাসন নেই। যে পুলিশের মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার কথা, তাদেরকেই এখন সুরক্ষা দিতে হবে।’ অন্যদিকে লাভপুরের ঘটনা নিয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘পুলিশ সব জায়গাতেই সক্রিয়। বোমবাজির কোনও দুষ্কৃতীদের কাজ। পুলিশ তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবে। বিজেপির কথায় গুরুত্ব দিয়ে কোনও লাভ নেই। এখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত রয়েছে।’