নাবালিকার বিয়ের অভিযোগ জানিয়ে স্কুলের তরফ থেকে প্রশাসনকে খবর দেওয়া হয়। তারপরেই বিয়েবাড়িতে আসার সিদ্ধান্ত নেয় বারাসত থানার পুলিশ (Barasat Police Station)। মুহূর্তের মধ্যে বিয়েবাড়িতে খবর ছড়িয়ে যায় যে পুলিশ আসছে বিয়ে বন্ধ করতে। মুহূর্তেই ফাঁকা হয়ে যায় গোটা অনুষ্ঠান বাড়ি। ভয়ে অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে পালান আত্মীয়-স্বজনরাও। এই বিষয়ে পাত্রীপক্ষের বাড়ির এক সদস্য বলেন, “পুলিশ এসে শুধু বিয়ে বন্ধ করতে বলে। কাউকে গ্রেফতার করেনি। পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে মেয়ের বয়স ১৮ পার হওয়ার পরেই যেন পুনরায় বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়।”
বিয়েবাড়িতে খাবার নষ্টের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পরিবারের ওই সদস্য বলেন, “শুকনো জাতীয় খাবারগুলি রেখে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। আর মাছ মাংস বা তরিতরকারির বিষয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না। দেখতে হবে এই খাবারগুলি কি করা যায়।”
উল্লেখ্য, নাবালিকা বিয়ে রোধে ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে রাজ্য জুড়ে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) নির্দেশে ছাত্রীদের পড়াশোনাসহ নানান সুবিধার জন্য একাধিক প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। তবু কিছু মানুষ এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছেন বলেই জানালেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। আর তার জন্যই প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের ভয়ে এদিন বিয়ে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পাত্রীপক্ষের তরফ থেকে। এই বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষামহলের মতে, মানুষকে সচেতন করতে হবে। না-হলে বাল্য বিবাহ বন্ধ করা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন রাজ্যের সুশীল সমাজ। তাঁদের মতে, গ্রামে সচেতনতার অভাব রয়েছে, তাই জোরকদমে সচেতনতা প্রচার শুরু করতে হবে।