পোষ্যকে হারিয়ে এখন নিজের দিঘা যাওয়াকেই দায়ী করছেন রিনাদেবী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দেশবন্ধু নগর এলাকার বছর পঞ্চান্ন রিনা মণ্ডলের পোষ্যের আদুরে নাম পচাই। রিনাদেবী পেশায় বিউটিশিয়ান। তাঁর ছেলে প্রবাল মণ্ডল প্রায় আট বছর আগে জঙ্গলে পরিত্যক্ত একটি সারমেয় বাচ্চাকে দেখতে পান। মা হারা একমাসের শিশুটিকে বাড়ি নিয়ে এসে নিজের মায়ের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তিনি। ছোটো থেকে আহ্লাদে বড় হয়েছে পচাই। মাছ, মাংস, ডিম ছাড়া ভাত খেত না সে, যেন বাড়িরই আদুরে মেয়ে। এমনকী পরিবারে সদস্যেদর সঙ্গে একসঙ্গেই বিছানায় ঘুমাত পচাই।
চলতি মাসের শুরুতেই সপরিবরে দিঘায় ঘুরতে গিয়েছিলেন রিনাদেবী। যাওয়ার আগে তিনি দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের এ-জোন এলাকায় চৈতালি রায়ের কাছে পচাইকে রেখে যান। চৈতালিদেবীর একটি ক্যানেল রয়েছে। অর্থের বিনিময়ে পোষ্যর দেখভাল করেন চৈতালি। পচাই সেখানে ভালোই ছিলো। কিন্তু, হঠাৎই সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়। ৮ তারিখ দিঘা থেকে ফিরে আসার পর দুঃসংবাদ যায় রিনাদেবীর কাছে। তখনও শুরু হয় খোঁজাখুঁজি।
রিনাদেবী বলেন, ‘দুর্গাপুরের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও পচাইকে খুঁজছি। ব্যাঙ্গালোরে ‘অ্যানিমেল কমিউনিকেটর’ পায়েল চক্রবর্তীর সঙ্গেও কথা বলেছি। তিনি পচাইয়ের চোখের রেটিনার ছবি দিয়ে টেলিপ্যাথি করেন। তিনি পচাইকে স্টিল টাউনশিপে দেখতেও পেয়েছেন। সেই সব জায়গায় আমরা খোঁজ করেছি, কিন্তু অবস্থানে পরিবর্তন হওয়ার জন্য পাইনি। এলাকার এক গুণিনের কাছেও গিয়েছিলাম তিনিও গণনা করে দেখেছেন পচাই বেঁচে আছে এবং দুর্গাপুরেই আছে। কিন্তু সে অনেকটা দূরে চলে গিয়েছে তাই ফিরতে পারছে না।’ রিনাদেবী জানিয়েছেন দুর্গাপুর থানার পুলিশের কাছেও খবর দেওয়া হয়েছে। এত কিছুর পরও রিনাদেবী পচাইকে খুঁজে পান কিনা, সেটাই এখন দেখার।