বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে ফের শুরু গুঞ্জন। সম্প্রতি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ দেশের প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন যা নিয়ে জাতীয় থেকে রাজ্য রাজনীতিকে তোলপাড় করে দেয়। অমর্ত্য সেন বলেন,” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে।” নোবেলজয়ীর এই মন্তব্যে জাতীয় রাজনীতিতেও শোরগোল পড়ে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়েও প্রতিক্রিয়া দিতে শোনা যায় নোবেলজয়ীকে। ভারতে অসহিষ্ণুতা নিয়ে সরব হয়েছিলেন অর্মত্য সেন। কিন্তু, এযাবৎ কালে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে কিছু বলতে শোনা যায়নি।
অন্যদিকে, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের হিতে কাজ করতে দেখা গিয়েছে। তিনি পশ্চিমবঙ্গের কোভিড রেসপন্স পলিসির গ্লোবাল অ্যাডভাইসরি বোর্ডের নেতৃত্বে ছিলেন। রাজ্য সরকার এই দুই নোবেলজয়ীর মতামতকে গুরুত্ব দেয় বলে মনে করছেন বিচারপতি। তাই তাদের মতামত এবিষয়ে কী তা জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে বিভিন্ন স্তরে শিক্ষক নিয়োগ ও গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একাধিক নির্দেশ আলোচিত হয়েছে। তাঁর নির্দেশেই প্রাথমিক, উচ্চপ্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে।