প্রসঙ্গত, গত সোমবার অগ্নিমিত্রা (Agnimitra Paul) তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা কর্মীদের বাইরে বেরোলে ‘পিঠে কুলো বেঁধে বেরোনোর’ পরামর্শ দেন। ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir Suraksha Kawach) কর্মসূচিতে বেরিয়ে সাধারন মানুষের বিক্ষোভের সম্মুখীন হওয়ার জন্যই তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতাদের এমন ‘নিদান’ দেন অগ্নিমিত্রা। মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গেই অগ্নিমিত্রাকে ঝাঁঝাল আক্রমন করেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar)।
এছাড়াও তিনি বলেন, “যাদের কাজ নেই, জনসংযোগ নেই, কর্মসূচি নেই, তারাই এসব বিরূপ প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন।” ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) কর্মসূচির সফলতার কথা তুলে ধরে কাকলি বলেন, “আমার লোকসভা এলাকায় দিদির দূত কর্মসূচিতে বেরিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছি, সব জায়গায় উন্নয়ন হয়েছে, হাজার হাজার মানুষ এসেছেন, আমাদের সঙ্গে হেঁটেছেন। এলাকার মানুষই বলেছেন রাস্তা হয়েছে, আলো হয়েছে, জলের সুবন্দোবস্ত হয়েছে। সব কিছুইতো করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” রাজ্য সরকারের সফলতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন যে ভালো ভাবে কাজ করছে, তার পরিসংখ্যান কেন্দ্রীয় সরকারের এজেন্সিগুলি থেকেই পাওয়া যাচ্ছে। যেমন NCRB বলছে বাংলায় মহিলারা অনেকটাই সুরক্ষিত। দুয়ারে সরকার সেরা পুরস্কার পাচ্ছে। কন্যাশ্রী ইউনাইটেড নেশন্স থেকে সেরা পুরস্কার পাচ্ছে। এইসব ওরাই বলছে, আমরা বলছি না। এত বড় বড় জায়গা থেকে যখন প্রশংসা করা হচ্ছে, পুরস্কৃত করা হচ্ছে, তখন যাদের কাজ নেই তারাই বসে বসে শুধু কুৎসা করে যাচ্ছে। এঁদের কথা শোনার মতন সময় আমার নেই।”
মঙ্গলবার বারাসত পুরসভার (Barasat Municipality) উদ্যোগে আয়োজিত এই বইমেলার শুভ উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ছাড়াও দুই তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী ও সব্যসাচী দত্ত। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কাকলি বলেন, “বারাসতে যে কেউ আসতে পারেন, বারাসত হাসপাতালটা কি করে মেডিকেল কলেজ হল তা দেখতে পারেন, মাটির তলায় কি করে ড্রেন হল তাও দেখতে পারেন। এছাড়াও বাড়ি বাড়ি কিভাবে পরিশ্রুত পানীয় জল গেল দেখে যান। মেট্রোর কাজ এতদূর এগিয়ে গিয়েছে দেখতে পারেন। আমাদের অগ্রগতি, প্রগতি, উন্নয়ন সবই দেখে যান।”