Mandarmani Beach : কবর থেকে ‘নিখোঁজ’ তিমির কঙ্কাল – whale skeleton was not found after digging a grave in mandarmani beach


এই সময়, মন্দারমণি: দিনভর চেষ্টা করেও কবর খুঁড়ে পাওয়া গেল না তিমির কঙ্কাল। ২০২০ সালের ২৯ জুন মন্দারমণির সৈকতে ভেসে আসে একটি তিমির মৃতদেহ। ৩০ ফুটের বেশি লম্বা ও ১৪ ফুট পরিধির বেলিন হোয়েল প্রজাতির ব্রাইডস তিমিটির দেহে পচন ধরে গিয়েছিল। দূষণ আটকাতে দিঘা মেরিন অ্যাকোরিয়াম অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার ও বন দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে মৃত তিমিটিকে সৈকতের মাটি খুঁড়ে পুঁতে দেওয়া হয়। পরিকল্পনা নেওয়া হয়, তিমির শরীরের মাংস পচে গেলে হাড়গুলি সংগ্রহ করে দিঘা মেরিন অ্যাকোরিয়াম অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে রাখা হবে প্রদর্শনের জন্যে। সেই পরিকল্পনা মতো মঙ্গলবার মেরিন অ্যাকোরিয়াম অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানী, গবেষক, ছাত্রছাত্রী ও বন দপ্তর যৌথ ভাবে তিমির কঙ্কাল উদ্ধারের উদ্যোগ নেয়।

Digha Beach: ওভারব্রিজ তৈরির জন্য বন্ধ দিঘা সংযোগকারী জাতীয় সড়ক, সমুদ্র সৈকতে পৌঁছবেন কোন পথে?
মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ তিমির হাড়গোড় উদ্ধারের জন্যে দিঘা মেরিন অ্যাকোরিয়াম অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের ইনচার্জ এস বালাকৃষ্ণন, বিজ্ঞানী প্রসাদচন্দ্র টুডু, মন্দারমণি কোস্টাল থানার (Mandarmani Coastal Police Station) ওসি অনুষ্কা মাইতি-সহ জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানী-সহ বন দপ্তরের আধিকারিকরা এলাকায় যান। জেসিবি মেশিন, মাটি খোঁড়ার লোকজন নিয়ে গিয়ে কবর থেকে তিমির কঙ্কাল উদ্ধারের কাজ শুরু করেন তাঁরা। প্রথমে ৩০ ফুট লম্বা ও চার পাঁচ ফুট চওড়া করে চার জায়গায় গর্ত খোঁড়া হয়। কিন্তু বিকেল পর্যন্ত চেষ্টা করে তিমির হাড়গোড়ের কোনও খোঁজ পাননি বিজ্ঞানীরা। স্থানীয়দের কাছে খোঁজখবর করে তাঁরা জানতে পারেন, ইয়াসের প্রবল জলোচ্ছ্বাসে সৈকতের কবর ভেসে গিয়েছে। ভেসে আসা তিমির চোয়ালের একটি অংশ ওই এলাকা থেকে উদ্ধার করে ক্ষান্ত হতে হয় উদ্ধারকারী দলকে।

Asansol News : মাছ পড়ল পাতে, মুখে পড়ল সোনা
উদ্ধার কাজের তত্ত্বাবধানে থাকা বিজ্ঞানী প্রসাদচন্দ্র টুডু বলেন, “সৈকতের কিছুটা উঁচুতে বালি খুঁড়ে তিমিটিকে কবর দেওয়া হয়েছিল। অনুমান করা হচ্ছে, প্রবল জলোচ্ছ্বাসের টানে সৈকতের বালির সঙ্গে তিমিটির দেহাংশও সমুদ্রে ভেসে গিয়েছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে তিমির চোয়ালের এক টুকরো হাড় উদ্ধার করা হয়েছে।” এর আগে ২০১২ সালে বেলিন হোয়েল প্রজাতির ৪২ ফুট লম্বা একটি মৃত তিমি দিঘা মোহনা থেকে ৪০ নটিক্যাল মাইল দুরে মৎস্যজীবীদের ট্রলারের জালে আটকে যায়। সেই বিশাল আকার তিমিটির কঙ্কাল সংরক্ষণের পর দিঘা মেরিন অ্যাকোরিয়ামে প্রদর্শনের জন্যে রাখা আছে।

Digha Beach : দিঘা মোহনায় বিরল প্রজাতির কচ্ছপ, পর্যটকদের ভিড়
বিজ্ঞানী প্রসাদচন্দ্র টুডু বলেন, “এই তিমিটির দেহও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সাধারণ ভাবে তিমির শরীরের মাংস পুরোপুরি পচে যেতে ৩-৪ বছর সময় লাগে। তবে এই কয়েক বছরে মাংসের সঙ্গে বেশ কিছু হাড়ও নষ্ট হয়ে যায়। সে কারণে ঠিক করা হয়েছিল, কবর থেকে তিমির হাড়গোড় উদ্ধার করে হাড়ের সঙ্গে যদি কিছু মাংস লেগে থাকে, তা হাত দিয়ে পরিষ্কার করে আগের তিমিটির মতো সংরক্ষণ করা হবে। কিন্তু আমরা খুব আশাহত হয়েছি।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *