তাঁদের পছন্দ ও রুচিবোধ আলাদা। অনেক সময় দেখি, চুল এমন করে কাটা, বাজে ভাবে কাটা, এখানে লাল, কানে আবার দুল। এসব করা যাবে না। আপনারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূত এটা কিন্তু মাথায় রাখতে হবে।“ উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রায় কোনায় কোনায় দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন তৃণমূল নেতা বিধায়করা। কোথাও অনুন্নয়ন, কোথাও গোষ্ঠী দ্বন্দের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন গ্রামবাসী ও তৃণমূল কর্মীরা। এরই মধ্যে তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, যে যেমন তাঁকে সেভাবে ভোটারদের সামনে তুলে ধরা না গেলে দলে কেন রাখা হচ্ছে। এছাড়াও কারও রূচিবোধ দলের ভাবমূর্তির সঙ্গে মানানসই না হলে কেন তাঁকে দিদির দূত হওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বা দেওয়া হবে? এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।
যদিও তৃণমূল বিধায়ক দলীয় কর্মীদের এমন নির্দেশ দিলেও এই বিষয়টিকে বিশেষ পাত্তা দিতে রাজি নয় রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল BJP। জেলা BJP নেতৃত্বের মতে, বিধায়কের এমন নিদাস স্রেফ কথার কথা। এতে কোনও লাভ হবে না। তৃণমূল কর্মীরা যে তিমিরে থাকার, সেই তিমিরেই থাকবেন, এমনটাই মত বিরোধী নেতাদের। তাঁদের মতে, এখন তৃণমূল দলটিতে সবাই নিজেকে নেতা ভাবেন। তাই বিধায়কের এমন উপদেশ যে নতমস্তকে মেনে নেবেন, এমন কর্মী বা নেতা শাসকদলে খুঁজে পাওয়া বিরল হবে।