Didir Doot : কার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ? দেগঙ্গায় ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে মন্ত্রীর সামনেই বচসা কর্মীদের – tmc workers clash for giving lunch to minister sujit bose for didir doot campaign


TMC : ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) আহার গ্রহণ করবেন কার বাড়িতে ? তা নিয়ে তৃণমূলের (TMC) দুই কর্মীর মধ্যে বচসা, হাতাহাতির অভিযোগ। এ বলে আমার বাড়িতে আসুন, ও বলে সিডিউল অনুযায়ী, আমার বাড়িতে আহার গ্রহণ করার কথা, আমার বাড়িতে আসতে হবে। এই নিয়ে বিরোধ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গার (Deganga) চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতে পাথরঘাটা এলাকায়। দোটানায় রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose)। অবশেষে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতেই আহার গ্রহণ করলেন তিনি, পাশাপাশি দ্বিতীয় আমন্ত্রিত বাড়িতে গিয়েও তাঁদেরও মান ভাঙালেন তিনি। তবে বিষয়টির মধ্যে কোনও ‘গোষ্ঠী বিরোধ’ নেই, ‘ কমিউনিকেশন গ্যাপ’ থাকার কারণেই এরকমটা ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।

Didir Doot : ‘দিদির দূত’-দের ঝাঁটাপেটা করার নিদান, বেফাঁস মন্তব্য BJP বিধায়কের
বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গার চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতে (Chakla gram panchayat) পাথরঘাটা এলাকায় ‘ দিদির দূত’ কর্মসূচি পালনে যান রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু। এলাকা পরিদর্শনের পর স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে আহার গ্রহণের কথা রয়েছে দলের নির্দেশিকা অনুযায়ী। কাজ মিটিয়ে দুপুরে আহার গ্রহণ করতে যাওয়ার সময় বাধে বিপত্তি। দুই দলীয় কর্মী আপ্যায়নের জন্য দ্বারস্থ হন মন্ত্রীর। দুই পক্ষই দাবি করতে থাকে, তাঁদের বাড়িতেই দুপুরের আহারের আয়োজনের জন্য নির্দেশ রয়েছে। মন্ত্রীকে কে বাড়িতে নিয়ে যাবেন, তা নিয়ে বিরোধ বাধে দুই দলের। কিছুটা ইতস্তত হয়ে পড়েন মন্ত্রী নিজেও। দুই দলের মধ্যে বচসা প্রায় হাতাহাতিতে গিয়ে পৌঁছয়। যেখানে ‘ দিদির দূত’ কর্মসূচিতে অনেক তৃণমূল নেতা, মন্ত্রীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে, সেখানে মন্ত্রীকে ডেকে আপ্যায়ন করবে কে ? সেই নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা। বিরোধের ফলে ঘটনাস্থলে হাজির হয় দেগঙ্গা থানার পুলিশবাহিনীও।

Uttar 24 Pargana News : চড়কাণ্ডে পলাতক অভিযুক্ত ‘দিদির দূত’, তৃণমূলের সংস্রব নিয়ে অন্ধকারে মা
তরুণ ঘোষের বাড়িতে আহার গ্রহণ করেন মন্ত্রী সুজিত বসু। পাশাপাশি, ক্ষোভ প্রশমনে অপর তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে গিয়েও দেখা করেন তিনি। বিষয়টি মধ্যে কোনও গোষ্ঠী বিরোধ রয়েছে ? অভিযোগ উড়িয়ে দেন মন্ত্রী। তাঁর কথায়, ” আমাদের কাছে অফিসিয়াল যে শিডিউল আছে, সেই মেনেই কাজ করতে হয়। এখানে দুটো গোষ্ঠী বলে কিছু নেই। সবার সঙ্গেই আমার ভালো সম্পর্ক। সবার সঙ্গেই আমার কথা হয়েছে। এদিন স্থানীয় একটি মসজিদে যান মন্ত্রী সুজিত বসু। এরপর স্থানীয় একটি স্কুলেও যান তিনি। পাশাপাশি, চাকলা মন্দির পরিদর্শন করেন। মন্ত্রীর দাবি, কোথাও কোনও বিরোধ নেই। তিনি বলেন, ” আমরা মানুষের অভিযোগ শুনতেই এসেছি। সেটাকে সমাধান করাই আমাদের কাজ। একটি ছোট বিষয়ে কোথাও কমিউনিকেশন গ্যাপ হয়ে গিয়েছিল, সেটা মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *