ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ‘টক টু মেয়র’-এর (Talk To Mayor) অনুষ্ঠানে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)-এর নির্দেশে রাতারাতি কলকাতা ও পরে বিধাননগরে বন্ধ হয়ে যায় হুক্কাবার। অ্যাসোসিয়েশন অফ রেস্টুরেন্টের পক্ষ থেকে মামলা করে অভিযোগ করা হয় পুরসভার আইনে কোথাও হুক্কাবার বন্ধের কথা বলা নেই। অথচ পুলিশ পুরসভার অর্ডার দেখিয়ে বন্ধ করে দিচ্ছে রেঁস্তোরা। এতে কলকাতা ও বিধাননগর জুড়ে হাজার খানেক রেঁস্তোরায় ব্যবসায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাদের দাবি, হুক্কায় নিয়ম মেনে ভেষজ তামাক ব্যবহার করা হয়। কোনও পুর আইন ভঙ্গ হয়নি, তাহলে কেন এই নিষেধাজ্ঞা? এই প্রশ্ন তুলে আদালতের কড়া নেড়েছে ব্যবসায়ীরা। পুলিশ কিসের ভিত্তিতে হুক্কা বার বন্ধ করছে তার রিপোর্ট চান বিচারপতি।
গত ডিসেম্বরে ‘টক টু মেয়র’-এর (Talk To Mayor)-এ ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানান, হুক্কা বার (Hookah Bar) নিয়ে একাধিক অভিযোগ আসায় এই সিদ্ধান্ত। তিনি দাবি করেন, বেশ কিছু জায়গায় হুক্কায় নাকি মাদক মেশানো হয়। তাই ইয়ং জেনারেশনের কথা ভেবে হুক্কায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলকাতা পুরসভা। কলকাতা পুর অঞ্চলে (Kolkata Municipal Corporation) সমস্ত রেস্তরাঁ ও বারে বন্ধ হয়ে যায় হুক্কা পরিবেশন। কলকাতার পাশাপাশি বিধাননগর কমিশনারেটেও (Bidhannagar Commissionerate ) একইভাবে হুক্কা বার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মেয়রের মৌখিক ঘোষণার পরই পুরসভার তরফে নির্দেশিকা জারি করে হুক্কা বারগুলির লাইসেন্স বাতিল করা হয়। কলকাতা পুলিশ হুক্কা বার বন্ধে শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযানে নামে । এমনকী নির্দেশিকা জারির পর অবৈধভাবে হুক্কা বার চালানোর অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। তরুণ প্রজন্ম এই নেশার হাত থেকে বাঁচাতে এই সিদ্ধান্ত। যদিও পালটা রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা দাবি তোলেন, তারা লাইসেন্সের সমস্ত নিয়ম মেনেই পরিবেশন করে। কোনও মাদক মেশানো হয় না। একইসঙ্গে উপভোক্তা ১৮-ঊর্ধ্ব কিনা তাও দেখে নেওয়া হয় । তাই এভাবে লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও পুর আইনে আলাদা করে কোনও নিষেধাজ্ঞা না থাকা সত্ত্বেও এভাবে ব্যবসা বন্ধে লোকসানের মুখে ব্যবসায়ীরা। তাই শেষ পর্যন্ত তারা আদালতের দ্বারস্থ। উল্লেখ্য, কলকাতার পাশাপাশি শিলিগুড়ি, হাওড়াতেও হুক্কাবারে জারি নিষেধাজ্ঞা।