Mamata Banerjee : একটি হাইওয়ে প্রকল্প। জুড়তে চলেছে চারটি দেশ। ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান। তার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির বীজ। এশিয়ান হাইওয়ের মাধ্যমে তিন প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ আগামীদিনে উত্তরবঙ্গের উন্নতির কাণ্ডারী হতে চলেছে বলে মত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বৃহস্পতিবার হাসিমারার (Hasimara) সরকারি অনুষ্ঠান থেকে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। এশিয়ান হাইওয়ে (Asian Highway Project) প্রকল্পের মাধ্যমে এশিয়ান হাইওয়ে ২ এর মাধ্যমে একদিকে কাঁকরভিটা, পানিট্যাঙ্কি, বাগডোগরা, শিবমন্দির ও নৌকাঘাট থেকে ফুলবাড়ি হয়ে বাংলাদেশ, অন্যদিকে এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮ এর মাধ্যমে ফুন্টশোলিং, জয়গাঁ, হাসিমারা, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি ও চ্যাংড়াবান্ধা হয়ে বাংলাদেশ যাওয়ার সড়ক নির্মাণ হচ্ছে। ভারত সহ চারটি দেশের সীমান্ত এলাকা এই প্রকল্পে যুক্ত। তাই এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্ক বা এডিবি এতে আর্থিক সহযোগিতা করছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “খুব শীঘ্রই চারটি দেশের সঙ্গে রাস্তা জুড়ে যাচ্ছে। আপনারা গাড়ি নিয়ে সড়ক পথে যাতায়াত করতে পারবেন।” মূলত রাজ্যের পর্যটন উন্নতির কথা মাথায় রেখে উত্তরবঙ্গে সেই তালিকায় এক নম্বরে আনতেই এই পদক্ষেপ বলে মত তাঁর। এর পাশাপাশি, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধনে রাজ্য সরকার ‘জয়ী ব্রিজ’, ‘কালজানি ব্রিজ নির্মাণ করেছে বলেও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
Mamata Banerjee Abhishek Banerjee: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক মঞ্চে উঠতে নারাজ অভিষেক! কারণ জানালেন মুখ্যমন্ত্রীই
সড়ক ব্যবস্থার উন্নতির কারণেই হাসিমারা থেকে নতুন এয়ারপোর্ট (Airport) তৈরি করার পরিকল্পনা কথা জানান তিনি। পাশাপাশি, এও উল্লেখ করেন যাতে আগামী দিনে এই অঞ্চলে আলাদা করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে ওঠে। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদান বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও সুর চড়ান তিনি। তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় সরকার সব ফান্ড বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা এখনও ৬০০০ কোটি টাকা পাই। আমরা নিজেরা ৪০ লাখ জব কার্ড হোল্ডারদের কাজ দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যের টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছো। মাছের তেলে মাছ ভাজা। ট্যাক্সের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। নকুল দানা কিনতে গেলেও এখন ট্যাক্স লাগবে। আমি ভিক্ষে করব না। আমি ভিক্ষে করার লোক নই, আমি না ওদের কাছে ভিক্ষে চাইব না। ১১ লাখ বাড়ি করেছি, সেটাও দেয়নি। ১৭ লাখ নাম বাদ দিয়েছে, যাঁরা উপযুক্ত তাঁদের দিয়েছি।”
Medhashree Prokolpo : ‘মমতাময়ী’ সরকারের আরও এক প্রকল্প, স্কলারশিপ ‘মেধাশ্রী’ OBC-দের
পাশাপাশি এদিনের মঞ্চ থেকে চা শ্রমিকদের জন্যেও বিশেষ বার্তা দিতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। ডুয়ার্স অঞ্চল জুড়ে প্রায় ১১১৭ চা শ্রমিকদের বাড়ি করে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। আগামী দিনে আরও ৩ হাজার করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। চা শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ” জমির পাট্টা শ্রমিকদের দেওয়া হবে। আমরা যাতে চা বাগান থেকে কিছুটা জমি নিয়ে পাট্টা দিতে পারি, তার প্রসেস করব। যাকে ঘর দিতে পারছি না, তাঁকে পাট্টা দেব। আমাদের জমি যাতে শ্রমিক পায় তা দেখা হবে।”