স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি লাগোয়া দেড় শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ প্রতিবেশী মহরম শেখের সঙ্গে। গ্রামের সালিশি সভাতে বেশ কয়েকবার জমি বিবাব নিয়ে সমাধানের রাস্তা খোঁজার চেষ্টাও হয়। শেষমেষ ডিসেম্বর মাসে সালিশি সভাতে জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদের নিষ্পত্তি হয়। বুধবার রাতে হাসিবুলের গোঙানি শুনে তাঁর ঘরে ছুটে আসেন তার মা সারজিনা বিবি। ঘরে এসে দেখেন এক ব্যক্তি হাসিবুলকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে বেপরোয়াভাবে কোপাচ্ছে। সারজিনা বাধা দিতে গেলে তাঁকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় ওই দুষ্কৃতী। সারজিনার চিৎকারে আশপাশের প্রতিবেশীরা ছুটে এলে পালিয়ে যায় আততায়ী ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় হাসিফুলকে নাজিরপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
হাসিবুলের মা সারজিনা বিবি বলেন, ‘রাত আনুমানিক বারোটার দিকে আমার ছেলের গোঙানি শুনে পাশের ঘরে ছুটে গিয়ে দেখি মহরম হাসোয়া দিয়ে আমার ছেলেকে কোপাচ্ছে। সারা ঘরে রক্তারক্তি কাণ্ড। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকেও মারধর করে। আমার চিৎকারে আশপাশ থেকে লোক ছুটে এলে সে পালিয়ে যায়। আমার ছেলেকে খুন করা হল। আমি মহরমের ফাঁসি চাই।’ ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে ওড়িশা থেকে রওনা দিয়েছে বাবা চাঁদ আলি। তাঁর আক্ষেপ, ‘সামান্য জমির জন্য ছেলে খুন করবে আগে জানলে জমি দিয়ে দিতাম।’ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে নাজিরপুর তদন্ত কেন্দ্র ও তেহট্ট থানার পুলিশ। মৃতের মা সারজিনার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মহরমের খোঁজে চলছে তল্লাশি। যদিও মহরম ও তাঁর বাড়ির সবাই রাত থেকে পলাতক।