সোশাল মিডিয়ার দৌলতে মমতার পাইস হোটেলের (Pice Hotel Mamata) সুখ্যাতি এখন ঘরে ঘরে। রোজকার ক্রেতার ভিড় ছাপিয়ে এখন উৎসাহীদেরই রমরমা। নেটপাড়ায় ট্রেন্ডিং তকমা জুটতেই একফালি পাইস হোটেলে রোজই ব্লগার থেকে জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটারদের ভিড়। তবে এদিন প্রথনবার কোনও রাজনৈতিক নেতা পা রাখলেন মমতা গঙ্গোপাধ্যায়ের (Mamata Ganguly) পাইস হোটেলে। একটি বিশেষ উদ্দেশে এদিন এখানে এসেছিলেন মদন মিত্র। মমতার পাইস হোটেলে (Mamata Pice Hotel) সকলের অনুরোধে পালং শাকের তরকারি অল্প মুখে তুলেই মুগ্ধ তৃণমূল বিধায়ক। বললেন, ”অসাধারণ, মনে হল বাড়ির খাবার খাচ্ছি।”
এখানেই শেষ নয়, মমতার হোটেলের খাবারের স্বাদে মুগ্ধ কামারহাটির দাপুটে বিধায়ক (Kamarhati MLA) দিলেন একেবারে ৩০০ প্লেট ভাত-মাংসের অর্ডার দিলেন মদন মিত্র। সংবাদমাধ্যকে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ”বিধানসভা থেকে ফিরছিলাম। আগামীকাল আমার এলাকার এক স্কুলের স্পোটর্স ডে-তে বাচ্চাদের লাঞ্চের ব্যবস্থা করার অনুরোধ এল। ভাবছিলাম কোথায় যাব, তখনই আমাকে আমার সহযোগী ফেসবুকে এই পাইস হোটেলের বিষয়টি দেখায়। ওর মুখে সুখ্যাতি শুনে এখানে এসে তো এলাহী কাণ্ড দেখলামই।”
মদন মিত্রের মতো এমন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বের থেকে এমন বড় অর্ডার পেয়ে আপ্লুত মমতা। সোশাল মিডিয়ায় খ্যাতি একসময় বিড়ম্বনায় ফেলেছিল তাঁকে। কিন্তু, এদিন কামারহাটির বিধায়কের আগমনে সোশাল জনপ্রিয়তাকে শাপে বর বলে মনে করছেন। মদন মিত্রও এমন লড়াই করে জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়া মমতার পাশে দাঁড়াতে পেরে খুশি। তাই খাবার টেস্ট করে একলপ্তে দিলেন এত বড় অর্ডার। আগামীকাল মমতার পাইস হোটেল (Nandini Pice Hotel) থেকেই খাবার যাবে মদন মিত্রের এলাকার স্কুলে।
মাস খানেক আগেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় নন্দিনী ওরফে মমতা গঙ্গোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের গল্প। গুজরাট থেকে হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়ে ফিরে কীভাবে পাইস হোটেল ব্যবসায় এলেন সেই গল্প শুনেই বহুলোক স্বচক্ষে তাঁর দোকান দেখতে আসছেন প্রতিদিন। লকডাউনে বিপাকে পড়া পরিবারের হাল ফেরাতে এক মধ্যবিত্ত শিক্ষিতা মেয়ের লড়াই এখন অনেকেরই অনুপ্রেরণা।