স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ যাঁদের প্রকৃত ঘর পাওয়ার দরকার, তাঁরা পাচ্ছেন না। সঠিক তদন্ত হচ্ছে না। এই নিয়ে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের তর্ক-বিতর্ক হয়। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল জানায়, নিয়ম মেনে তারা তদন্ত করে চলেছে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক শ্বেতা আগরওয়াল, নন্দকুমারের বিডিও শানু বক্সি সহ অন্যান্যরা। অন্যদিকে, আবাস প্লাস তালিকা খতিয়ে দেখতে সফরের দ্বিতীয় দিনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় কেশপুরে যান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। কেশপুরের ধলহারা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মুকুন্দপুর গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা। উল্লেখ্য গতকালকেই খড়গপুর দু’নম্বর ব্লকের লছমাপুর ও জনার্দনপুর গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা। সফরের দ্বিতীয় দিনে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তা দেখতে সকাল থেকেই তৎপর ছিল প্রসাশন।
প্রসঙ্গত, বিজেপির দেওয়া তালিকা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় দল পরিদর্শন করছে বলে পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূল অভিযোগ জানিয়েছিল বুধবারই। বুধবার প্রথমে জেলা কালেক্টরেটে এসে জেলাশাসক আয়েশা রানির সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় সরকারের ওই দুই প্রতিনিধি। তারপরই তাঁরা যান খড়গপুর দুই নম্বর ব্লকের লছমাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। প্রধান নান্টু মণ্ডলের হাতে একটি তালিকা তুলে দিয়ে ওই তালিকাভুক্ত ব্যক্তিরা কেন আবাস যোজনার বাড়ি পাননি তা জানতে চান। সেখান থেকে সোজা চলে যান জনার্দ্দনপুরে। সেখানেই গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা।