অর্ণবাংশু নিয়োগী: খড়গপুর আইআইটিতে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ডিরেকটরকে ভর্ৎসনা আদালতের। ডিরেকটর ভি কে তিওয়ারির উপর ক্ষুব্ধ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ক্ষুব্ধ বিচারপতির সাফ প্রশ্ন,’ডিরেকরর কি আদালতের ভাষা বোঝে না? আপনার সন্তানের সঙ্গে হলে কী করতেন?’ প্রসঙ্গত, বিশেষ প্রয়োজনে বিদেশ যাওয়ার কারণে এদিন আদালতে গরহাজির ছিলেন ডিরেকটর ভি কে তিওয়ারি। ডিরেকটরের বদলে হাজিরা দেন আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র। যাতেই যারপরনাই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি মান্থা। সরাসরি জানতে চান, ‘উনি কি বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পারছেন না?’
খড়গপুর আইআইটির ছাত্র ফইয়াজ আহমেদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা বারবার জানতে চায় আদালত। উত্তর না পেয়েই ডিরেক্টরকে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু এদিনও গরহাজির ডিরেকটর। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানতে চান, ‘কী করছেন আপনারা? আদালতের উত্তর দেওয়া জরুরি না টোকিও যাওয়া জরুরি? এমন একটা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা ডাইরেক্টর এমন আচরণ?’ যার জবাবে আইনজীবী জানান, প্রতিষ্ঠানের তরফে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গড়া হয়েছে সেই কমিটি তদন্ত করে ডিসিপ্লিনারি রিপোর্ট দেয়। তারপর আরও একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটিও গড়া হয়।
কিন্তু জবাবে সন্তুষ্ট হননি বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। তিনি বলেন, মামলাকারীরা গুয়াহাটির প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকেন। তাদের কলকাতায় আসার টাকা নেই। তারা গুয়াহাটি থেকে কলকাতায় আসতে পারছেন না। কিন্তু ডিরেকটর কী করে বিষয়টিকে হালকা করে নিচ্ছেন? আদালতের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না? প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বহু মেধাবী ছাত্ররা এখানে পড়তে আসে, তারা সুযোগ পেলে দেশ এবং দুনিয়ার উপকারে লাগবে। তারা এভাবে বাধাপ্রাপ্ত হলে বিরাট ক্ষতি হবে। Ragging একটা জঘন্যতম ঘটনা। এর জন্য পড়ুয়াদের মধ্যে মানসিক অসুস্থতা তৈরি হতে পারে। এটা না আটকানো গেলে ভবিষ্যতে অনেক বড় সমস্যা হবে। সবার জানা দরকার Raging কতটা ক্ষতিকারক! ৬ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারপতি।