Bangashree Scheme : আরামবাগে মশারির নীচে আলু চাষ, উৎসাহিত হচ্ছেন অন্য কৃষকরাও – hooghly potato farmers cultivating seed under cover of mosquito net


West Bengal News : মশারির নিচে আলু বীজ চাষ। অবাক করার মতো ঘটনা মনে হলেও আরামবাগের কালিদোনা এলাকায় উন্নতমানের হাইটেক আলু বীজ চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন কৃষকরা। পোকার শরীরবাহিত ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে মশারির নিচে আলুর বীজের চাষের প্রচলন শুরু হয়েছে হুগলি জেলার আরামবাগে (Arambagh)। এটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিজস্ব ব্র্যান্ডের বঙ্গশ্রী আলু বীজ। সরকারে এই বৈপ্লবিক প্রোজেক্টকে সফল করতে বৈজ্ঞানিক থেকে শুরু করে প্রশাসনিক ও চাষিদের তৎপরতা চোখে পড়ার মতন। হাইটেক আলু বীজের পরীক্ষামূলক চাষ দেখতে বৃহস্পতিবার আরামবাগে আসেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারে কৃষি দফতর ও গবেষণাগারের একটি প্রতিনিধি দল। প্রায় এক বিঘা জমিতে তৈরি নেট হাউসে তৈরি আলু বীজ গাছ পর্যবেক্ষণ করেন তাঁরা।

Mohan Bhagwat : রাজ্যে সফরে এসে প্রথমেই হুগলি গেলেন RSS প্রধান, BJP নেতার বাড়িতে সারলেন মধ্যাহ্নভোজ
অভিনব এই চাষের বিষয়ে ডঃ হিমাদ্রি শেখর দাস জানান, আমরা যে প্রজেক্টটা নিয়ে কাজ করছি সেটা হল ভাইরাস মুক্ত বীজ উৎপাদন করা। আমাদের রাজ্যে প্রতিবছর ভিন্ন রাজ্য থেকে যে পরিমাণ বীজ আমাদের রাজ্যে আসে তাতে বহু টাকা চাষিদের খরচ করতে হয়। তাই আলু বীজ যদি আমরা বাইরে রাজ্য থেকে না এনে নিজেদের রাজ্যের মধ্যে উৎপাদন করতে পারি তাহলে চাষিরা উপকৃত হবে। আধিকারিকদের মতে, এর ফলে চাষিরা কম দামে সঠিক বীজ যেমন পাবে, তেমনি গুণমানের দিক থেকেও ভালো বীজ পাবেন। এই লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গশ্রী আলু বীজ উৎপাদনের পথা চলা শুরু হয়। কিন্তু মশারির ঘেরাটোপে কেন এই উৎপাদন? কৃষি আধিকারিক জানিয়েছেন, ভাইরাস-মুক্ত বীজ উৎপাদনের জন্য এই ধরণের সতর্কতা। নতুন পদ্ধতিতে কিভাবে আলু চাষ করা যায়, সেই বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। টিস্যু কালচার করে গবেষণাগারে প্রথমে টেস্ট টিউবে আলুর চারাগাছ তৈরি করা হয়। তার পর বিশেষ ভাবে তৈরি ‘নেট হাউস’-এ আলুর বীজ উৎপাদন করা হয়। পরবর্তীকালে আরও কয়েকটি জেলায় পলি হাউস বানিয়ে বঙ্গশ্রী বীজ তৈরি হচ্ছে।

TMC : তৃণমূলের অঞ্চল কমিটিতে মৃত ব্যক্তির নাম! শোরগোল আরামবাগ জুড়ে
প্রসঙ্গত, একটা সময় পর্যন্ত বাংলার আলু চাষিদের তাকিয়ে থাকতে হতো পাঞ্জাবের দিকে। এ রাজ্যে উৎপাদিত আলুর বীজ আসত পাঞ্জাব থেকে। তা নিয়ে চলতো কালোবাজারিও। অনেক বেশি দাম দিয়ে বাজার থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হতো। বছর চারেক আগে রাজ্যের সরকারি কৃষিখামারে ভাইরাস-মুক্ত উন্নত মানের আলু বীজ তৈরির কাজ শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী যার নাম দিয়েছিলেন ‘বঙ্গশ্রী’। সেই বীজই এখন পৌঁছছে চাষিদের হাতে। তার জন্যে জেলায় জেলায় শিবির করছে কৃষি দফতর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *