অভিনব এই চাষের বিষয়ে ডঃ হিমাদ্রি শেখর দাস জানান, আমরা যে প্রজেক্টটা নিয়ে কাজ করছি সেটা হল ভাইরাস মুক্ত বীজ উৎপাদন করা। আমাদের রাজ্যে প্রতিবছর ভিন্ন রাজ্য থেকে যে পরিমাণ বীজ আমাদের রাজ্যে আসে তাতে বহু টাকা চাষিদের খরচ করতে হয়। তাই আলু বীজ যদি আমরা বাইরে রাজ্য থেকে না এনে নিজেদের রাজ্যের মধ্যে উৎপাদন করতে পারি তাহলে চাষিরা উপকৃত হবে। আধিকারিকদের মতে, এর ফলে চাষিরা কম দামে সঠিক বীজ যেমন পাবে, তেমনি গুণমানের দিক থেকেও ভালো বীজ পাবেন। এই লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গশ্রী আলু বীজ উৎপাদনের পথা চলা শুরু হয়। কিন্তু মশারির ঘেরাটোপে কেন এই উৎপাদন? কৃষি আধিকারিক জানিয়েছেন, ভাইরাস-মুক্ত বীজ উৎপাদনের জন্য এই ধরণের সতর্কতা। নতুন পদ্ধতিতে কিভাবে আলু চাষ করা যায়, সেই বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। টিস্যু কালচার করে গবেষণাগারে প্রথমে টেস্ট টিউবে আলুর চারাগাছ তৈরি করা হয়। তার পর বিশেষ ভাবে তৈরি ‘নেট হাউস’-এ আলুর বীজ উৎপাদন করা হয়। পরবর্তীকালে আরও কয়েকটি জেলায় পলি হাউস বানিয়ে বঙ্গশ্রী বীজ তৈরি হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, একটা সময় পর্যন্ত বাংলার আলু চাষিদের তাকিয়ে থাকতে হতো পাঞ্জাবের দিকে। এ রাজ্যে উৎপাদিত আলুর বীজ আসত পাঞ্জাব থেকে। তা নিয়ে চলতো কালোবাজারিও। অনেক বেশি দাম দিয়ে বাজার থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হতো। বছর চারেক আগে রাজ্যের সরকারি কৃষিখামারে ভাইরাস-মুক্ত উন্নত মানের আলু বীজ তৈরির কাজ শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী যার নাম দিয়েছিলেন ‘বঙ্গশ্রী’। সেই বীজই এখন পৌঁছছে চাষিদের হাতে। তার জন্যে জেলায় জেলায় শিবির করছে কৃষি দফতর।