মানস ভুঁইয়া অবশ্য বলেন, “২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক পরে যখন শপথ গ্রহণ হয়নি সেই সময় ওই ‘গ্যাপ পিরিয়ড’-টিতে কেন্দ্র সরকারের নির্দেশে রাজ্যকে তড়িঘড়ি বিভিন্ন সার্ভে করে তালিকা তৈরি করতে হয়েছিল। ২০১৮ সালে বিভিন্ন BDO অফিসে কো-অর্ডিনেশন কমিটি এবং CPIM-এর দৌরাত্ম চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিল। কো-অর্ডিনেশন কমিটির লোকারা তাঁদের নিজেদের লোক দিয়ে ব্লক স্তরে যে সার্ভে করিয়েছিল তাতে কিছু কিছু ত্রুটি ছিল। পরবর্তী পর্যায়ের যখন ধরা পড়ল তখন তা কম্পিউটারে উঠে গেছে এবং কেন্দ্রের কাছে চলে গিয়েছে। আমাদের কিছু করার নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বলেছিলেন সার্ভে করে ত্রুটি ঠিক করে নেবে রাজ্য। প্রাথমিক পর্যায়ে ৩৯ লাখ বাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছিল। তার মধ্যে সাড়ে ১১ লাখ বাড়ি কেটে দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যের মানসিকতার ভালো না থাকলে কি তা হত!” কেন্দ্র অর্থ আটকে রেখেছে বলে মন্তব্য রাজ্যের মন্ত্রীর।
এদিকে মানস ভুঁইয়ার মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা শোনা গিয়েছে জেলা কোঅর্ডিনেশন কমিটির সম্পাদক দুলাল দত্তের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ” সরকারি কর্মীরা শনি-রবিতেও কাজে যাচ্ছেন। কিন্তু, তাঁদের DA দেওয়া হচ্ছে না। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন তাঁরা”অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে BJP-র জেলা সহ সভাপতি অরূপ দাস বলেন, “রাজ্য সরকারি কর্মীদের আপনারা অসম্মান করবেন, তাঁদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করবেন, কেন থাকবে তাঁরা আপনাদের পাশে?”