সকাল থেকেই বলাগড়ে বারুইপাড়া গ্রামে সকাল থেকেই মানুষের মধ্যে কৌতূহল ছিল।বেশ কিছু অনুগামীকেও দেখা যায় তৃণমূল নেতার বাড়ির পাশে। বাড়ি থেকে গাড়ি সব কিছুই তল্লাশি করে ইডি কর্তারা। সন্ধ্যায় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালো স্করপিও গাড়িটি বিশেষভাবে পরীক্ষা করেন ইডি।গাড়ির সামনে পিছনে থাকা কাগজ ডায়েরি বের করেন দেখেন ইডি আধিকারিকরা।যদিও শান্তনু একাই ছিলেন বাড়িতে। তার স্ত্রী ও ছেলে স্কুলে গিয়ে আর বাড়ি ফেরিনি। রাত 10 টা নাগাদ ইডি আধিকারিকরা বেরিয়ে আসেন বাড়ি থেকে।টানা এই ১২ ঘণ্টার জেরা চলাকালীন বাড়ির চারদিকে ঘিরে ছিল সিআরপিএফ জওয়ান ।যদিও সেভাবে কিছু পায়নি বলে দাবি করেন এই তৃণমূল নেতা।
রাত দশটা নাগাদ শান্তনুর বাড়ি থেকে সিআরপিএফ জওয়ানদের নিয়ে বেরিয়ে যান ইডি আধিকারিকরা বেরিয়ে যাওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শান্তনু বলেন, ”কী জন্য এসেছিল, কী কারণে জিজ্ঞাসাবাদ এখন বলব না ? এটা সম্পূর্ণ তদন্ত এবং আইনের বিষয়। তবে তারা এসে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তাদেরকে তদন্তে সহযোগিতা করেছি। তবে ভবিষ্যতে ফের তাকে ডাকলে হাজিরা দেবার নির্দেশ দেন তারা। আধিকারিকরা ভালো ব্যবহার করেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে একাউন্ট সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র তারা নিয়ে গিয়েছেন।”
গোটা বিষয়টাতেই কি তিনি রাজনীতির শিকার? প্রশ্নের উত্তরে শান্তনু বলেন, ”বিগত দিনে কয়েকবার বিরোধী দলনেতা তিনি এসে বারবার আমার নাম তুলেছেন তারপরেই এটা হচ্ছে। আমি আশা করেছিলাম এমন একটা কিছু হবে।”
তাপস মন্ডলকে তিনি চেনেন কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে সরাসরি শান্তনু বলেন, ”আমি তাকে চিনি না, জানিনা, জীবনে লোকটাকে দেখিনি। একজন চার্জশিটের আসামী সে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর একের পর এক নাম নিয়ে যাচ্ছেন এটা অবাক করা ব্যাপার। আমার সামনা সামনি ডেকে বসালে তখন তিনি বলবেন কেন আমার নাম নিয়েছেন। তবে আমি বলতে পারব না কেন তিনি আমার নাম নিয়েছেন। আমরা রাজনৈতিক ব্যক্তি আমাদের কাছে সব সময় বিভিন্ন মানুষ আসেন। তবে কুন্তলকে আমি চিনি । আমার বাড়ি থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে থাকে। ছোট ভাইয়ের মত ছোটবেলা থেকে দেখেছি। তবে চার পাঁচ বছর ধরে এখানে থাকে না কলকাতাতে থাকে। আমার সঙ্গেই দল করে। আমি যদি কোন অন্যায় করে থাকি নিশ্চয়ই ভয় থাকবে। তবে আমি কোনওরকম কোনও স্ক্যামের সাথে যুক্ত নই। তবে রাজনৈতিক কোন চক্রান্ত কিনা তা ভবিষ্যৎ প্রমাণ করবে।”