মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ দিন আগে ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন মোথাবাড়ির কুরিয়াটাইড়ের বাসিন্দা রেজিনা বেওয়া (৮৫)। সে সময় থেকে ওই বৃদ্ধা মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। দিন কয়েক আগে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাঁকে সিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসা চালাকালীন অবস্থায় ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। এরপর রাতের বেলায় শববাহী গাড়ি করে নিজের মাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শববাহী গাড়ি খুঁজতে শুরু করেন। তবে দুশ্চিন্তাও ছিল মনে। কারণ সেই পরিমাণ অর্থ ছিল না তাঁর কাছে। হাসপাতালের চত্বরেই শববাহী গাড়ির জন্য তিনি খোঁজখবর করা শুরু করেন। এরপরেই বিষয়টি জানতে পেরে এগিয়ে আসেন হাসপাতালের এমএসভিপি পুরঞ্জয় সাহা। তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে দেন তাঁর মাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। হাসপাতালের তরফে শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য নিশ্চিন্ত হন মাহিরাব হক।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে (Jalpaiguri Super Specialty Hospital) ভর্তি হয়েছিলেন জেলার ক্রানি ব্লকের বাসিন্দা লক্ষীরানি দেওয়ান। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য তিন হাজার টাকা চায় অ্যাম্বুলেন্স (Ambulance)। কিন্তু আসল ভাড়া নাকি ১০০০ টাকা। টাকা দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না তাঁদের। তাই কাঁধে করেই মৃতদেহ নিয়ে শ্মশানযাত্রা করে পরিবার। এই ঘটনার পরেই শুরু হয় রাজ্য জুড়ে সমালোচনা।