পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সদ্যোজাতকে অন্য দম্পতির হাতে তুলে দেওয়ার গোপন খবর নদিয়া চাইল্ড লাইনের কাছে আসে। শুক্রবার নদিয়া চাইড লাইনের কর্মীরা রানাঘাট থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তারাপুর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা তাপস বিশ্বাসের বাড়িতে হানা দেয়। তাপস বিশ্বাসের কথা কন্যা সন্তান দত্তক নেওয়ার বৈধ নথিপত্র দেখতে চাওয়া হয়। বৈধ কাগজপত্র না দেখাতে পারলে ওই সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে চাইল্ড লাইনের কর্মীরা। এরপর শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়। সদ্যোজাত শিশু কন্যাকে অন্য কারও হাতে তুলে দেওয়ার পিছনে কোনও আর্থিক লেনদেন আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নদিয়া জেলা চাইল্ড লাইন সূত্রের খবর এখন ওই সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে হোমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কীভাবে রঘুনাথের থেকে কন্যা সন্তান তাপস বিশ্বাস নামে ওই ব্যক্তির কাছে গেল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত রঘুনাথ জানিয়েছে, সংসারে আর্থিক অনটনের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া তাঁর কাছে আর অন্য কোনও উপায় ছিল না।
তাপস বিশ্বাসের শাশুড়ি কল্পনা বিশ্বাস এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার মেয়ে জামাইয়ের কোনও সন্তান নেই। সেই কারণে আমার জামাই ওই শিশুটিকে নিয়ে এসেছিল ছ’দিন আগে। আজ বাড়িতে পুলিশ এসে তাঁকে নিয়ে গিয়েছে। শিশুটির বাবা-মা স্বইচ্ছায় জামাইয়ের হাতে তুলে দিয়েছিল। আইনতভাবে নিয়েছিল কিনা, সেটা আমি জানি না।’ ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন তাপস বিশ্বাস বলেন, ‘রঘুনাথ আমার পরিচিতি। ওঁক তিন-চারটে সন্তান রয়েছে। আর্থিক অনটনের কারণে এই শিশুটিকে মানুষ করতে পারবে না বলে আমাকে নিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। আমার সন্তান নেই বলেই আমি বাড়িতে নিয়ে এসেছি। টাকা পয়সার কোনও লেনদেন হয়নি।’