দিদি নম্বর ওয়ানে মমতা
ডলহৌসি চত্বরে পাইস হোটেল (Pice Hotel Nandini) চালানো মমতা গঙ্গোপাধ্যায় এখন নেটপাড়ায় চর্চিত নাম। ভাইরাল তকমাপ্রাপ্ত এই তরুণীকে এবার দেখা গেল জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো দিদি নম্বর ওয়ানে। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরে অকপট নন্দিনী ওরফে মমতা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “নোটবন্দির সময় বাবার ব্যবসা ধাক্কা খায়। আমরা সর্বসান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করে তখন আমি গুজরাটে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতাম। আমি বাড়ির মেজ মেয়ে। আমার দিদি এবং বোন দু’জনেই ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছে। ওঁরা দু’জনেই কর্মরত। কিন্তু, বাবার এ হেন অবস্থা আমরা মেনে নিতে পারিনি। আমি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। প্যারালাইজড হয়ে গিয়েছিলাম। অবশ হয়ে গিয়েছিল হাত-পা। মা অনেক সেবা শুশ্রুষা করে আমার সুস্থ করে তুলেছিলেন।” বাবার কথা বলতে গিয়ে চোখে জল চলে আসে মমতার। তিনি বলেন, “আমাদের কাউকে কিছু না জানিয়েই বাবা ডালহৌসি চত্বরেই একটি রুটির দোকানে হেল্পার হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। ২০০ টাকা রোজে বাবা ওই কাজ নিয়েছিলেন। পাছে আমরা কষ্ট পাই, বাড়িতে কাউকে কিছু জানতেও দেয়নি বাবা। পরে বোন একদিন জিজ্ঞাসা করায় সবটা জানাতে বাধ্য হয়।”
লকডাউনের সময় থেকেই সংসারের হাল ধরেছেন মমতা। দিদি নম্বর ওয়ানে (Didi Number 1) সেই কাহিনি শেয়ার করতে গিয়ে তরুণী বলেন, “লকডাউন পর্বে মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল মায়ের। বাবা একদিন রাতে ফোন করে আমায় গুজরাট থেকে ফিরে আসতে বলেন। আমি আর কোনওদিক ভাবিনি। সোজা কলকাতায় ফিরে আসি। এখানে এসে বাবা যে হোটেল ভাড়া নিয়েছিলেন, সেটার দায়িত্ব নিই। বাবা-মাকে সাহায্য করতে করতে একদিন গোটা দোকানটার দায়িত্বই নিজের কাঁধে তুলে নিই। আমার বাবা এখনও ভোর ৩টে ওঠেন, ৪টেয় শিয়ালদা কোলে মার্কেটে বাজার করতে যান। তারপর হোটেলের রান্না করেন।”