Nandini Ganguly Pice Hotel : ‘প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়েছিলাম, তারপর…!’ পাইস হোটেলের নন্দিনীর অজানা কাহিনি জানুন – kolkata pice hotel nandini aka mamata ganguly shares her life story in didi number 1 show


অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই সোশাল মিডিয়ার দৌলতে পরিচিত হয়ে উঠেছে অফিসপাড়ার নন্দীনি ওরফে মমতা (Nandini Gnaguly Pice Hotel)। ডালহৌসি চত্বরে পাইস হোটেল চালান তিনি। গুজরাটে বেসরকারি সংস্থার চাকরি ছেড়ে রাতারাতি চলে এসেছিলেন কলকাতায়। হাল ধরেছিলেন বাবার পাইস হোটেলের। সেই থেকে নিজে হাতে পরিবেশন করে অফিস কর্মীদের লাঞ্চ পরিবেশন করে এই তরুণী। তবে হাসিমুখে খাবারের থালা হাতে পাইস হোটেল চালানোর এই নন্দিনীর জীবন সংগ্রামের কাহিনি সকলেরই অজানা। দিদি নম্বর ওয়ানে এসে সেই লড়াইয়ের কথা বর্ণনা করলেন মমতা গঙ্গোপাধ্যায়।

Nandini Pice Hotel: মমতার রান্নায় মুগ্ধ মদন, দিয়ে বসলেন বড়সড় অর্ডার
দিদি নম্বর ওয়ানে মমতা

ডলহৌসি চত্বরে পাইস হোটেল (Pice Hotel Nandini) চালানো মমতা গঙ্গোপাধ্যায় এখন নেটপাড়ায় চর্চিত নাম। ভাইরাল তকমাপ্রাপ্ত এই তরুণীকে এবার দেখা গেল জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো দিদি নম্বর ওয়ানে। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরে অকপট নন্দিনী ওরফে মমতা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “নোটবন্দির সময় বাবার ব্যবসা ধাক্কা খায়। আমরা সর্বসান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করে তখন আমি গুজরাটে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতাম। আমি বাড়ির মেজ মেয়ে। আমার দিদি এবং বোন দু’জনেই ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছে। ওঁরা দু’জনেই কর্মরত। কিন্তু, বাবার এ হেন অবস্থা আমরা মেনে নিতে পারিনি। আমি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। প্যারালাইজড হয়ে গিয়েছিলাম। অবশ হয়ে গিয়েছিল হাত-পা। মা অনেক সেবা শুশ্রুষা করে আমার সুস্থ করে তুলেছিলেন।” বাবার কথা বলতে গিয়ে চোখে জল চলে আসে মমতার। তিনি বলেন, “আমাদের কাউকে কিছু না জানিয়েই বাবা ডালহৌসি চত্বরেই একটি রুটির দোকানে হেল্পার হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। ২০০ টাকা রোজে বাবা ওই কাজ নিয়েছিলেন। পাছে আমরা কষ্ট পাই, বাড়িতে কাউকে কিছু জানতেও দেয়নি বাবা। পরে বোন একদিন জিজ্ঞাসা করায় সবটা জানাতে বাধ্য হয়।”

Pice Hotel Mamata : মেজাজ হারালেন পাইস হোটেলের মমতা! ভাইরাল হতেই খ্যাতির বিড়ম্বনা?
লকডাউনের সময় থেকেই সংসারের হাল ধরেছেন মমতা। দিদি নম্বর ওয়ানে (Didi Number 1) সেই কাহিনি শেয়ার করতে গিয়ে তরুণী বলেন, “লকডাউন পর্বে মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল মায়ের। বাবা একদিন রাতে ফোন করে আমায় গুজরাট থেকে ফিরে আসতে বলেন। আমি আর কোনওদিক ভাবিনি। সোজা কলকাতায় ফিরে আসি। এখানে এসে বাবা যে হোটেল ভাড়া নিয়েছিলেন, সেটার দায়িত্ব নিই। বাবা-মাকে সাহায্য করতে করতে একদিন গোটা দোকানটার দায়িত্বই নিজের কাঁধে তুলে নিই। আমার বাবা এখনও ভোর ৩টে ওঠেন, ৪টেয় শিয়ালদা কোলে মার্কেটে বাজার করতে যান। তারপর হোটেলের রান্না করেন।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *