জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আজ রটন্তী কালীপুজো। তিথি অনুসারে, ২০ জানুয়ারি শুক্রবার শেষ রাত থেকে ২১ জানুয়ারি শনিবার রাত পর্যন্ত অমাবস্যা তিথি থাকবে। বিভিন্ন মন্দির ও পীঠস্থানে মা কালী রটন্তী রূপে পূজিতা হন। এই সময়ের মতো মধ্যে পুজোপাঠ সম্পন্ন করলে ফললাভ পেতে পারেন। দক্ষিণেশ্বরে আজ সাড়ম্বরে রটন্তী কালীপুজোর আয়োজন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে তিনটি কালীপুজো খুবই খ্যাত। সেখানে ফলহারিনী কালীপুজো, দীপান্বিতা কালীপুজো ও রটন্তী কালীপুজো অনুষ্ঠিত হয়।
‘রটনা’ শব্দ থেকে ‘রটন্তী’ শব্দটি এসেছে। মাঘ মাসের কৃষ্ণচতুর্দশীকে ‘রটন্তী চতুর্দশী’ বলা হয়৷ আর এই তিথিতে শ্রীকৃষ্ণ ও কালীর মিশ্ররূপে যে নতুন বিগ্রহপুজোর সূচনা রাধার হাতে হয় বলে কথিত আছে। তিথির নামে দেবীও পেলেন নতুন নাম, ‘রটন্তী কালী’। নামে যেন বোঝানো হতে লাগল যে, এই দেবী ‘রটনা’ অর্থাৎ কলঙ্কনাশিনী দেবী। রাধার প্রেম-কলঙ্ক ভঞ্জনের প্রার্থনা আপামর মানুষের কাছে সামাজিক যে-কোন রকমের অপবাদ-নিন্দা-কলঙ্ক থেকে দূরে রাখার প্রার্থনা হয়ে ওঠে।
মাঘ চতুর্দশীতে রটন্তী কালীপুজো হয়ে থাকে। এই রটন্তী কালীপুজো ঘিরে রয়েছে নানান কাহিনি। মাঘ মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশী তিথি ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন। সেই সময় কৃষ্ণের বাঁশি শুনতে পান রাধা। তিনি বিচলিত হয়ে ওঠেন। বাঁশির শব্দ শুনে ছুঁটে যান কৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করতে। তাঁকে হাতেনাতে ধরার জন্য তার পিছনে যান ননদ জটিলা কুটিলা। তাঁরা কৃষ্ণের সঙ্গে রাধার মিল দেখে তা আয়ান ঘোষকে জানান। তিনি সেই কথা বিশ্বাস করেননি। তিনি কুঞ্জবনে ছুঁটে যান। সে সময় শ্রীকৃষ্ণ কালী রূপ ধারণ করেন। তিনি এসে দেখেন মা কালীর সেবায় মত্ত রাধা। সেখানেই তার প্রথম কালী দর্শন। আয়ান ঘোষ ছিলেন মা কালীর উপাসক। তিনি এই কথা তিনি সর্বত্র ছড়িয়ে দেন। সেই থেকে এই মাঘ মাসে কৃষ্ণ চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয়ে আসছে রটন্তী কালীপুজো।
আরও পড়ুন, Menstruation Leave: পিরিয়ডস হলে ছুটি পাবে ছাত্রীরা, নজরবিহীন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে স্কুল কর্তৃপক্ষ