উল্লেখ্য, এর আগে শিক্ষক বদলি প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেছিলেন, শহরে ১১৫টি সরকারি স্কুল আছে। সেখানে শিক্ষক সংখ্যা ৫০০ জনের বেশি। যদিও এই স্কুলগুলিতে সবমিলিয়ে ৫০ জনের কম পড়ুয়া রয়েছে। অন্যদিকেই, কলকাতা এবং আশেপাশের এলাকায় বদলি চেয়ে অনেকেই আবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে কিছু শিক্ষক স্কুলের নামও নির্দিষ্ট করে দিচ্ছিলেন। এই বিষয়টি নিয়ে কার্যত উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আদলত। সেই সময় এজিকে উদ্দেশ্য করে কলকাতা হাইকোর্ট জানতে চেয়েছিলে, যেখানে অতিরিক্ত ছাত্র আছে কিন্তু পর্যাপ্ত শিক্ষকের ঘাটতি সেখানে কেন এই অল্প পড়ুয়া থাকা স্কুলগুলি থেকে ছাত্রদের বদলি করা হল না! এই নিয়ে একটি নির্দিষ্ট নীতি তৈরির পক্ষেও সওয়াল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
শহরে বদলির জন্য একাধিক আবেদন আসছে। এইভাবেই যদি শহর এবং শহরতলীর স্কুলগুলিতে বদলি নেওয়ার জন্য শিক্ষকরা আবেদন করতে থাকেন সেক্ষেত্রে গ্রামের স্কুলগুলি ফাঁকা হয়ে যেতে পারে এই আশঙ্কাও অতীতে করেছিলেন বিচারপতি বসু। এজি অবশ্য এই প্রসঙ্গে অতীতে একটি জনস্বার্থ মামলার কথা উল্লেখ করেছিলেন। যদিও এবার এই নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট। গ্রামের যে সমস্ত স্কুলে ছাত্র সংখ্যা বেশি এবং তুলনায় শিক্ষক কম এই নয়া সিদ্ধান্তের ফলে সেখানে শিক্ষকদের বদলি করা যাবে এবং পঠন পাঠনের ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে বলে মতামত ওয়াকিবহাল মহলের।